হিমবাহজাত হ্রদ থেকে বন্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হল নেপালের পর্যটনকেন্দ্র পোখরা সংলগ্ন এলাকা। ঘটনায় অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিন বিদেশি পর্বতারোহী সহ নিখোঁজ ৬০ জন। বন্যায় ভেসে গিয়েছে বাড়িঘর, গবাদি পশু, কৃষিজমি।
অন্নপূর্ণা শৃঙ্গের কাছে তুষারধসের ফলে উত্তরপশ্চিম নেপালের একটি হ্রদে হঠাৎ জলস্তর বেড়ে যায়। হ্রদের জল তীব্র গতিতে এসে পড়ে সেতি নদীতে। জলের তোড়ে ধ্বংস হয়ে যায় শারদিখোলা, খরাপানির মতো গ্রামের কয়েকটি অংশ। তিব্বতে এই ধরনের বন্যার কথা শোনা গেলেও এই প্রথম এই ঘটনার সাক্ষী হল নেপাল। |
কিছু ক্ষণের মধ্যেই উদ্ধারকার্যে নামেন নেপালি সেনা, পুলিশ ও আন্তর্জাতিক রেডক্রসের কর্মীরা। সেনা মুখপাত্র রমেন্দ্র ছেত্রী জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে সেনা হেলিকপ্টার ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। জলস্রোতে ভেসে যাওয়া পাঁচ জনকে উদ্ধার করেছেন সেনারা। সেতি নদীর তীর থেকে ১৩টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই অঞ্চলে অন্নপূর্ণা, ধৌলাগিরি ও নীলগিরির মতো শৃঙ্গ থাকায় বিদেশি পর্বতারোহীদের যাতায়াত আছে। সেনা সূত্রে খবর, তিন রুশ পর্বতারোহীর খোঁজ পাওয়া যায়নি।বন্যার খবর শুনেই পোখরার সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাই। দ্রুত উদ্ধারকার্য শুরুর নির্দেশ দেন তিনি। বন্যায় গৃহহীন পরিবারগুলির জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতেও উদ্যোগী হয়েছে নেপাল সরকার। |