কুকুরদের হামলা থেকে এক শিশু হরিণকে বাঁচালেন বাবা ও ছেলে। শুক্রবার আড়শার খুকড়ামুড়া গ্রামের ঘটনা। খবর পেয়ে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হরিণ শাবকটিকে উদ্ধার করেন। হরিণটির পায়ে, মাথায় ও পিঠে ক্ষত রয়েছে। পুরুলিয়ার ডিএফও অজয় কুমার দাস বলেন, “হরিণ শাবকটির সুরুলিয়া বন্যপ্রাণী পুর্নবাসন কেন্দ্রে চিকিৎসা চলছে।” |
চলছে চিকিৎসা। ছবি: সুজিত মাহাতো। |
বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে খুকড়ামুড়া গ্রামের সঞ্জয় সিংহ সর্দারের গ্রামের এক প্রান্তে কয়েকটি কুকুরের জটলা দেখে সন্দেহ হয়। তাঁর কথায়, “কাছে যেতেই দেখি একটি হরিণশিশুকে কয়েকটি কুকুর ঘিরে ধরেছে। হরিণটি বাঁচার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছিল। কুকুরের দল হরিণটিকে কামড়ে-আঁচড়ে দিচ্ছিল। হরিণটিকে বাঁচানোর জন্য বাবাকে (সঞ্জয়ের বাবা মোহন সিংহ সর্দার) ডেকে নিয়ে আসি। লাঠি হাতে আমরা তেড়ে যেতেই কুকুরগুলো পালিয়ে যায়। কিন্তু ততক্ষণে হরিণটির সারা দেহ ক্ষতিবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল।” স্থানীয় বাসিন্দারাও এগিয়ে এসেছিলেন। খবর পেয়ে স্থানীয় কাঁটাডির বিট আধিকারিক গুণধর খিলাড়ি বনকর্মীদের নিয়ে সেখানে যান। তিনি বলেন, “হরিণ শাবকটিকে উদ্ধার করে শিরকাবাদে চিকিৎসার জন্য পাঠাই।” আড়শার রেঞ্জ অফিসার ভক্তরঞ্জন মাহাতো বলেন, “খুকড়ামুড়ার দুই গ্রামবাসী হরিণটি বাঁচিয়ে সচেতনতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁদের পুরস্কৃত করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আর্জি জানাব।”
আজ শনিবার, থেকে অযোধ্যাপাহাড়ে শিকার উৎসব শুরু হচ্ছে। এই গ্রামটি পাহাড়ের প্রায় কাছে। ইতিমধ্যে শিকারিরা পাহাড়ে উঠতে শুরু করেছেন। বনকর্মীদের ধারনা, শিকারিদের তাড়া খেয়েই শিশু হরিণটি পাহাড় থেকে নেমে এসেছিলে। উল্লেখ্য, এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে সাঁতুড়ি থানার দণ্ডহিত গ্রামে একই ভাবে কুকুরের আক্রমণে একটি হরিণের মৃত্যু হয়েছিল। |