একই রাতে দিনহাটার দুটি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে নয়টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। শনিবার রাতে দিনহাটার গোসানি রোড ও নিগমনগর বাজার চত্বরে প্রায় একই সময়ে ওই দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামলাতে হিমসিম খান দমকল কর্মীরা। বাসিন্দা ও ব্যাবসায়ীদের একাংশ দমকল কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। রবিবার নিগমনগর বাজারের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যান স্থানীয় বিধায়ক উদয়ন গুহ। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাবসায়ীদের নগদ আর্থিক সাহায্য তুলে দেন তিনি। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে দিনহাটার চওড়াহাট বাজারে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার রেশ কাটার আগেই ফের একই রাতে দুই এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী মহলে উদ্বেগ বেড়েছে। মহকুমাশাসক অগাস্টিন লেপচা বলেন, “এ নিয়ে চলতি মাসে মহকুমায় ৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা হল। তার মধ্যে শনিবার রাতে প্রায় একই সময়ে দুই এলাকায় আগুন লাগায় দমকল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা এড়াতে সচেতনতা বাড়ানোর বিষয়ে পরিকল্পনা নিচ্ছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।’’, শনিবার মাঝরাতে নিগমনগর বাজারে আগুন লাগার খবর পান দমকল কর্মীরা। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। নিগমনগর বাজারে আগুন নেভানোর কাজ চলার সময়েই দিনহাটা শহরের গোসানি রোডের বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকায় আগুন লাগার খবর আসে। তড়িঘড়ি কোচবিহার দমকল কেন্দ্রে খবর দেওয়া হয়। নিগমনগরের অবস্থা নিয়ন্ত্রণে থাকায় সেখান থেকেও একটি ইঞ্জিন গোসানি রোডের পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন দিনহাটার দমকল কর্মীরা। তাতে আপত্তি জানান স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তা নিয়ে একপ্রস্ত গোলমালের পরে গোসানি রোডে ওই ইঞ্জিন নিয়ে কর্মীরা পৌঁছলে বিক্ষোভে নামেন বাসিন্দারা। দমকলের গাড়ি ও কর্মীদের ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। কোচবিহারের দুটি ইঞ্জিনও সেখানে যায়। এক ঘণ্টার চেষ্টায় তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এক দমকল কর্তার কথায়, “এক দিকে নিগমনগর থেকে একটি ইঞ্জিন ফেরানোর সমস্যা সামলানো, অন্য দিকে গোসানি রোডে গিয়ে বিক্ষোভের মধ্যে পড়া। কেউ কথাই শুনতে চাইছেন না এমন অবস্থা। কাজ করাই সমস্যা হয়ে পড়েছিল।” দিনহাটা দমকল কেন্দ্রের আধিকারিক রঞ্জন ঘোষ বলেন, “একই সময়ে দুটি এলাকায় ইঞ্জিন পাঠানোর প্রয়োজন হয়েছিল।” ব্যবসায়ীরা জানান, গোসানিমারি রোডে তিনটি দোকান পুড়েছে। টেলারিং, বাজনা সামগ্রী ও গালামালের তিনটি দোকানে ক্ষতি ৩ লক্ষ টাকা। অন্য দিকে, নিগমনগর বাজারের দোকানগুলির মধ্যে রয়েছে কাপড়, হার্ডওয়্যার সামগ্রী, চা, জুতো-সহ ৬টি দোকান। সেখানে ক্ষতির পরিমাণ ৭ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। সর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগার ঘটনা বলে দমকলের অনুমান। দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামী বলেন, “জলের উৎস তৈরি করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’’ |