|
|
|
|
উত্তরের চিঠি |
|
দুর্ভোগে বহিরাগত ছাত্রছাত্রী |
|
নির্মীয়মাণ বাড়িতেও ভাড়া দেওয়া হয়। |
হোস্টেলের অভাবে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাইরের ছাত্র-ছাত্রীদের থাকবার জন্য বিশেষ অসুবিধেয় পড়তে হচ্ছে। চড়া দামে বাড়িভাড়া দিয়ে থাকার ব্যবস্থা করতে হয় এক নিরাপত্তাহীন পরিবেশে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় একটি ছোট ঘরের ভাড়া চার হাজার টাকারও বেশি। ইলেকট্রিক বিল বাবদ খরচ আলাদা। অথচ সেই ভাড়া বাড়িতে থাকে না পানীয় জল বা জামাকাপড় শুকোবার জায়গা।
এই সব এলাকায় পয়ঃপ্রণালীরও কোনও সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই। নর্দমা ও আবর্জনার গন্ধে প্রাণ অতিষ্ঠ হয়। পঞ্চায়েত নিষ্ক্রিয়। ভাড়াবাড়িগুলোর পয়ঃপ্রণালী কী হবে সে সম্পর্কে কোনও পরিকল্পনাই থাকে না। পঞ্চায়েত অফিস থেকে এক তলা বাড়ির নকশা অনুমোদন করিয়ে নেওয়ার পর পাঁচ ইঞ্চি ইটের গাঁথনি তুলে তিন তলা বাড়ি বানানো হচ্ছে। এক তলার ভিতে তিন তলা বাড়ির অজস্র উদাহরণ এখানে আছে। এমনকী তিন তলার উপরে টিনের ছাউনি দিয়েও ঘর ভাড়া দেওয়া হয়। কিছু দিন আগের ভূকম্পনে উত্তরবঙ্গ কেঁপে উঠেছিল। কিন্তু বাড়িগুলো দেখলে মনে হয় না যে এখানকার বাড়ির মালিকরা ভূমিকম্প সম্পর্কে আদৌ সচেতন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রচুর জমি ফাঁকা পড়ে আছে। সেখানে ছাত্রী ও গবেষক নিবাস তৈরি হলে এই সমস্যার প্রতিকার হয়। বিগত কয়েক বছরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বহু প্রশাসনিক ভবন ও প্রাচীর নির্মিত হয়েছে। প্রায় পঁচিশ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবন থেকে দুই কিলোমিটার দূরে গবেষক হস্টেল তৈরি হয়েছিল। সে ভবনটিতে আর কোনও রঙের প্রলেপ পড়েনি। এখন সেখানে শুধুই শেওলার স্তর দেখা যায়।
শান্তনু বসু। চাঁচল, মালদহ
|
পেনশন দূর অস্ত |
বিশ্বনাথ শীল কোচবিহার জেলার গীতালদহ হাই স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। গত বছর নভেম্বরে চাকরি থেকে অবসরগ্রহণের কয়েক দিন আগে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। মৃত্যুর আগে নভেম্বর মাসেই ডি পি পি জি থেকে তার পিপিও (নং- এসইসি/সি/সিওবি/ ০০২৪৭/২০১১) এসে গিয়েছিল। কিন্তু আকস্মিক মৃত্যুর কারণে পেনশন সহ অবসরকালীন সুযোগগ্রহণ তাঁর আর হয়ে ওঠেনি। মৃত্যুকালে তিনি অসহায় অবস্থায় রেখে গিয়েছেন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত দুই বিবাহযোগ্য ও এক শারীরিক প্রতিবন্ধী কন্যা, উচ্চমাধ্যমিক পাঠরত এক পুত্র এবং স্ত্রীকে। বিশ্বনাথের মৃত্যু এবং পিপিও পাওয়ার পর পাঁচ মাস হতে চলল। কিন্তু ফ্যামিলি পেনশনের পাত্তা নেই। তার পেনশন সংক্রান্ত কাগজপত্রে কোনও রকম ত্রুটি ছিল না। নইলে পিপিও পাওয়া যেত না। তা হলে ফ্যামিলি পেনশন পেতে এত দেরি কেন? আমিও দীর্ঘ দিন শিক্ষকতা করেছি। বর্তমানে নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী। আগের সরকারের আমলে পেনশন প্রাপ্তিতে বিলম্ব উল্লেখযোগ্য ছিল। আমি নিজে ভুক্তভোগী। কিন্তু ফ্যামিলি পেনশন পেতে অকারণে মাসের পর মাস কেটে যাওয়ার মতো ঘটনা আগে কখনও দেখিনি। পিপিও যেখানে এসে গিয়েছে সেখানে ফ্যামিলি পেনসন মঞ্জুর মাত্র কয়েক দিনের ব্যাপার। অতীতে দেখেছিও তাই। ফ্যামিলি পেনশন ও ডেথ গ্র্যাচুইটি না পাওয়ায় বিশ্বনাথের পরিবার চরম অর্থকষ্টে আছে।
বিশ্বনাথ সম্পর্কে আমার জামাই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে অবিলম্বে বিবেচনা করা হোক। সেই সঙ্গে জনসাধারণের হয়রানি রোধের জন্য সরকারি কাজে গতি আনতে কড়া পদক্ষেপ নিতে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
সুশীল সরকার। দিনহাটা, কোচবিহার
|
মাদকের রমরমা |
সম্প্রতি জলপাইগুড়ি শহরে মাদক সেবনের ফলে এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের অকাল মৃত্যু হওয়ার পর কলেজ কর্তৃপক্ষের টনক নড়ল। অথচ ছাত্রটির মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তাঁরা এ ব্যাপারে উদাসীন ছিলেন। তাঁরা জানতেনই না কলেজে মাদকের রমরমা চলছে। শুধু ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজই নয়, এ শহরের কমবয়সি ও উঠতি ছেলেদের মধ্যে ট্যাবলেট, সিরাপ, গাঁজা, ডেনড্রাইট ইত্যাদির নেশা মারাত্মক ভাবে ছেয়ে গিয়েছে। দু-চার জন মাঝে মাঝে ধরা পড়ে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয় না। কারণ নেশার উৎস বন্ধ হয় না।
জলপাইগুড়ি শহরের পুলিশলাইন সংলগ্ন এলাকাতেই বিভিন্ন ধরনের নেশার দ্রব্য পাওয়া যায়। অঞ্চলের উঠতি বয়সের অধিকাংশ ছেলে এতে আসক্ত। নেশার চোটে দ্রুত গতিতে বাইক চালনা, ছিনতাই, চুরি, ইভটিজিং-এর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। পুলিশ ও প্রশাসন নির্বিকার। তাই এ রকম অকাল মৃত্যু ঘটতেই থাকবে। এটাই যেন এই শহরের ভবিতব্য। জেলা ও মহকুমা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের অনুরোধ জানাই, দয়া করে সময় থাকতে ব্যবস্থা নিন।
ধ্যানেশ গুপ্ত। বাবুপাড়া, জলপাইগুড়ি
|
চিঠি পাঠান নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে।
উত্তরের চিঠি,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
১৩৬/৮৯ চার্চ রোড
শিলিগুড়ি- ৭৩৪৪০১ |
|
|
|
|
|
|