রেখা কালিন্দী-বীণা কালিন্দীর জেলা পুরুলিয়ায় বাল্যবিবাহ রোধে আরও কঠোর হচ্ছে প্রশাসন। আড়শা থানার বেলডি গ্রামে নাবালিকা মেয়ের বিয়ের তোড়জোড় করায় বাবাকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার পুরুলিয়া আদালত নাবালিকার বাবা পদক গড়াইকে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। তাঁর বছর চোদ্দোর মেয়ে অষ্টমীকে হোমে পাঠানো হয়েছে।
|
অষ্টমী গড়াই |
পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “বাল্যবিবাহ রোধের আইনে ওই ব্যক্তিকে ধরা হয়েছে।” অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) হৃষীকেশ মুদির কথায়, “এই জেলার রেখা, সুনীতা, বীণারা নিজেদের বিয়ে রুখে দিয়ে সারা দেশে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তা সত্ত্বেও নাবালিকা বিয়ে আটকানো যাচ্ছে না। তাই এ বার কড়া বার্তা দিতে চাই। বাল্যবিবাহের চেষ্টা হলেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
দিনমজুর পদকবাবুর এক ছেলে ও এক মেয়ে। অষ্টমী গত বছর গোরাদাগ হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণি পাশ করার পরে পড়া ছেড়ে দেয়। পদকবাবু ঝাড়খণ্ডের চন্দনকেয়ারি থানার বারোমেশিয়া গ্রামে মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন। ২ মে ছিল বিয়ের দিন। প্রশাসন বিয়ে রোধে তৎপর হয়। দায়িত্ব দেওয়া হয় নাবালিকাদের নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে। সংস্থার কো-অর্ডিনেটর অংশুমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অল্প বয়সে বিয়ে দিলে কী কী সমস্যা হতে পারে, পদকবাবুকে বোঝানো হয়। কিন্তু তিনি বিয়ে বন্ধ করতে রাজি হননি। থানায় অভিযোগ করি।” পুলিশ জানায়, বোঝানোর চেষ্টা হয় পদকবাবুকে। তিনি জানান, বিয়ে বন্ধ হলে সমস্যায় পড়বেন। শেষে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। তিনি বলেন, “১৮-র নীচে মেয়ের বিয়ে দেওয়া যায় না, জানতাম না।” |