হরিণঘাটায় একই পরিবারের চার সদস্য খুনে আলাউদ্দিন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে নগর উখড়া-১ পঞ্চায়েতের গোয়ালডোব গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিনকে তাঁর বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। বুধবার তাকে কল্যাণী মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক সুব্রত মুখোপাধ্যায় তার ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ১৭ এপ্রিল নগর উখড়া বাজারে নিজের বাড়ি থেকেই রিনা পাত্র, তাঁর ছেলে রবীন্দ্রনাথ পাত্র, বৌমা সুনীতা পাত্র ও নাতনি রিমি পাত্রের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার প্রতিবাদে পুলিশ কুকুর এনে তদন্ত করার দাবিতে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। দাবি মেনে তদন্ত শুরুও হয়। আইজি দক্ষিণবঙ্গ মিহির ভট্টাচার্য, জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমণ মিশ্র, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার অরিন্দম দত্ত চৌধুরী-সহ অন্য পুলিশ কর্তারা তদন্তে এসেছিলেন। তাঁরা মৃত রবীন্দ্রনাথবাবুর ভাই যতীন্দ্রনাথ পাত্র, ভগ্নীপতি গৌরাঙ্গ দেবনাথ-সহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিলেন। পরে তদন্ত করতে গিয়ে সামনে আসে আলাউদ্দিন মণ্ডলের নাম। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে ঘটনার কয়েকদিন আগে রবীন্দ্রনাথবাবুর বাড়িতে ঘন ঘন যাতায়াত করছিলেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন কী ঘটনার আগের দিন রাতেও তাঁকে রবীন্দ্রনাথবাবুর বাড়িতে দেখা গিয়েছিল। হেফাজতে নেওয়ার পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের ঘটনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে পুলিশের অনুমান। জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অরিন্দম দত্ত চৌধুরী বলেন, “তদন্তে নেমে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” তবে মৃত রবীন্দ্রনাথবাবুর বোন সোমা দেবনাথ বলেন, “আলাউদ্দিন মণ্ডল নামে কাউকে আমি চিনতে পারছি না।” জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা চঞ্চল দেবনাথ বলেন, “যতটা জানি ধৃত ব্যক্তির কাজকর্ম ও চলাফেরা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আমরা চাই তদন্তে দোষী গ্রেফতার হোক।” |