|
|
|
|
বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতি
নতুন সভাপতি নির্বাচন আজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
আজ, সোমবার বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হবে। দুপুরে বেলপাহাড়ি ব্লক অফিসের সভাঘরে বিডিও সর্বোদয় সাহার পৌরোহিত্যে সভাটি হবে।
গত মার্চে সিপিএমের ক্ষমতাসীন বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হাড়িরাম সিংহের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে বিরোধী ঝাড়খণ্ডীরা। তবে ১১ জন ঝাড়খণ্ডী সদস্যের মধ্যে ৯ জন সদস্য ওই অনাস্থা-প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন। ৫ এপ্রিল প্রশাসনের ডাকা তলবি সভায় ‘বিক্ষুব্ধ’ তিন জন সিপিএম সদস্যের সমর্থন নিয়ে অনাস্থা-প্রস্তাব পাশ করায় ঝাড়খণ্ডীরা। লক্ষ্যণীয় ভাবে, ওই দিন সিপিএম-সভাপতি হাড়িরামবাবু-সহ দলের বাকি ৯ জন সদস্য সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। ঝাড়খণ্ডীদের তরফে অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষরকারী ৯ জন সদস্য হাজির হলেও ২ জন ঝাড়খণ্ডী সদস্য আসেননি। সভায় হাজির হওয়া ১২ জন সদস্যের (ঝাড়খণ্ডী ৯ ও বিক্ষুব্ধ সিপিএম ৩) সমর্থনে ওই দিন অনাস্থা-প্রস্তাবটি পাশ হয়ে যায়। ফলে, সভাপতি পদ থেকে অপসারিত হন হাড়িরামবাবু।
সিপিএমের যে তিন জন ‘বিক্ষুব্ধ’ সদস্য (সুপ্রতীক সরেন, সুনীল মুর্মু ও ময়না শীট) দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে অনাস্থা-প্রস্তাব সমর্থন করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে সদস্য-পদ খারিজের জন্য সিপিএমের পক্ষ থেকে মহকুমাশাসক ও বিডিও-র কাছে লিখিত ভাবে সুপারিশ করা হয়। অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডী সদস্য বগলাপ্রসাদ কিস্কুর-ও সদস্য-পদ বাতিলের জন্য আবেদন করা হয়। সিপিএমের দাবি, পঞ্চায়েত সমিতির পরপর তিনটি সভায় বগলাপ্রসাদবাবু অনুপস্থিত ছিলেন। পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী, পঞ্চায়েত সমিতির পরপর তিনটি সভায় কোনও সদস্য অনুপস্থিত থাকলে তাঁর সদস্য-পদ বাতিল হয়ে যায়। প্রশাসনিক সূত্রের অবশ্য দাবি, তিন বিক্ষুব্ধ সিপিএম ও ১ ঝাড়খণ্ডী সদস্যের সদস্য-পদ বাতিলের বিষয়টি নিয়ে জটিলতা রয়েছে। তাই এখনও এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করা যায়নি। ফলে, আজ, সোমবার নতুন সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার আশঙ্কা নেই বলেই রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা।
২০০৮ সাল পর্যন্ত বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষমতায় ছিল ঝাড়খণ্ডী-জোট। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষমতা-দখল করে সিপিএম। শুরুতে ২৬ টি আসন-বিশিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম সদস্য ছিলেন ১৪ এবং ঝাড়খণ্ডী সদস্য ছিলেন ১২ জন। পরে মাওবাদীদের হাতে সিপিএমের ২ জন ও এক ঝাড়খণ্ডী সদস্য খুন হন। আসন-বিন্যাস কমে দাঁড়ায় সিপিএমের ১২ এবং ঝাড়খণ্ডীদের ১১। বিক্ষুব্ধ তিন সিপিএম সদস্য অনাস্থা-প্রস্তাব সমর্থন করায় বর্তমান আসন বিন্যাসে সংখ্যালঘু সিপিএমের সদস্য সংখ্যা এখন ৯ জন এবং ঝাড়খণ্ডী-জোট ১২ (ঝাড়খণ্ডী ৯ ও বিক্ষুব্ধ সিপিএম ৩)। বাকি দুই ঝাড়খণ্ডী সদস্যের একজন কিছুদিন আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। |
|
|
|
|
|