টুকরো খবর
স্কুলের ভোটে হাঙ্গামা, রাতেও আটক কর্তৃপক্ষ
স্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূল-সিপিএম কোন্দলে রবিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বালির সাঁপুইপাড়া হিন্দি জনতা আদর্শ বিদ্যালয়। স্কুল-কর্তৃপক্ষকে রাত পর্যন্ত স্কুলঘরেই আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আটকে থাকা সকলকে পুলিশি প্রহরায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। স্কুল সূত্রের খবর, পরিচালন সমিতিতে ছ’জন অভিভাবক-প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য ভোটাভুটি শুরু হতেই গোলমাল বাধে। দু’পক্ষই তিনটি করে আসন পায়। ফের শুরু হয় গোলমাল। বিরাট পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। সিপিএম নেতা আশিস রায়ের অভিযোগ, পদত্যাগ করার চাপ দিয়ে তাদের দলের জয়ী তিন অভিভাবককে স্কুলে আটকে রাখে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা বিকাশ দে-র বক্তব্য, গণনায় ‘ত্রুটি’ থাকায় ফের গুনতে বলা হয়। কিন্তু দাবি মানা হয়নি।”

পান্ডুয়ায় মৃত দম্পতি
এক দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। কীটনাশক খেয়ে তাঁরা আত্মঘাতী হয়েছেন বলে বাড়ির লোকজন পুলিশকে জানিয়েছেন। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পাণ্ডুয়ার উত্তরাখণ্ডের সরকারপাড়ায়। মৃতদের নাম সুশীল মুর্মু (২৫) এবং আল্পনা মুর্মু (২০)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সুশীল দিনমজুরির কাজ করতেন। এ দিন সকালে স্বামী-স্ত্রী দু’জনে এক সাথে কীটনাশক খান। এর পরে সুশীল বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। আল্পনা শাশুড়িকে জানান যে, তাঁরা কীটনাশক খেয়েছেন। প্রতিবেশিরা আল্পনাকে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান। বাড়ির কাছেই মাঠের ধারে সুশীলকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই আল্পনারও মৃত্যু হয়। পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তিতেই ওই দম্পতি আত্মঘাতী হয়েছেন।

খন্যানে পথ দুর্ঘটনা, জখম হলেন ২২ জন
ট্রাকের ধাক্কায় জখম হলেন ২২ জন বাসযাত্রী। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির খন্যান হাটতলা মোড়ের কাছে জিটি রোডে। এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ চুঁচুড়া-মেমারি রুটের একটি বাস মেমারির দিকে যাচ্ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পুলিশ জেনেছে, খন্যান হাটতলার কাছে নির্ধারিত স্টপেজের আগে মাঝপথেই যাত্রী তুলছিল বাসটি। সে সময়ে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চলা একটি ট্রাক বাসটির পিছনে ধাক্কা মারে। সংঘর্ষের তীব্রতায় বাসটি কিছুটা এগিয়ে গিয়ে একটি গাছে ধাক্কা মারে। বাসটি কার্যত দুমড়ে যায়। চালক-সহ বাসের ২২ জন যাত্রী জখম হন। খবর পেয়ে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। আহতদের উদ্ধার করে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আঘাত গুরুতর থাকায় ৫ জনকে স্থানান্তরিত করা হয় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। ট্রাক এবং বাস দু’টি গাড়িকেই পুলিশ আটক করেছে। ট্রাকের চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।

দুর্ঘটনায় ছাত্রীর মৃত্যু
রবিবার দুপুরে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ছাত্রীর। ঘটনাটি আরামবাগের কাঁটাবনি ঢালের। পুলিশ জানায়, চাঁদুর হাইস্কুলের ছাত্রী জেসমিনা খাতুনের (১৫) বাড়ি চাঁদুর গ্রামে। টিউশন পড়তে যাচ্ছিল সে। লরি অন্য একটি গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাপা দেয় তাকে।

কংগ্রেসের উপরে ‘চড়াও’ তৃণমূল
১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ পাওয়া ঘিরে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে আরামবাগের পূর্ব কৃষ্ণপুর গ্রামে। অভিযোগ, কিছু কংগ্রেস সমর্থকের বাড়িতে আগুন ধরানো হয়। মারধর, বোমাবাজিও হয়। জখম ৩। দু’দলের ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এসডিপিও (আরামবাগ) আকাশ মাগারিয়া বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ টহল দিচ্ছে।”

মারধর, ধৃত ৪
মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল চার জনকে। শনিবার রাতে খানাকুলের উবিদপুর গ্রামে একটি শীতলা পুজোর প্রসাদ খাওয়াকে কেন্দ্র করে পুজো কমিটির লোকজনের সঙ্গে বচসা বাধে স্থানীয় কিছু বাসিন্দার। পরে কমিটির লোকজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গ্রেফতার করা হয় রবিন সাঁতরা, শীতল সাঁতরা, দুর্গা সাঁতরা এবং বাবলু সাঁতরাকে। পুজো কমিটির সম্পাদক অশোককুমার চোঙদার বলেন, “ওই চার জন মন্দিরের চাতালে বসেই প্রসাদ খেতে চেয়েছিল। ওদের বলা হয়, বাইরে এসে সকলের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িতে প্রসাদ নিতে। এই নিয়ে বচসার জেরে পুজো কমিটি এবং উপস্থিত ভক্তদের লাঠিসোঁটা নিয়ে মারধর শুরু করে ওই চার জন।” স্থানীয় মানুষ সকলেক ধরে ফেলে পাল্টা মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.