নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে মাকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের দক্ষিণ বাদলকোনা গ্রামে। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম চণ্ডী বাগ (৫২)। তাঁর স্বামী গৌরবাবু মেজো ছেলে রবির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন থানায়। অভিযুক্ত পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় দিনমজুর গৌরবাবুর তিন ছেলে। দাদা-ভাইদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বছর দু’য়েক আগে আলাদা হয়ে যান রবি। নিজের সম্পত্তির ভাগ দাবি করে তখন থেকেই তিনি গোলমাল শুরু করেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানতে পেরেছে পুলিশ। প্রায়ই ভাইদের সঙ্গে মারামারি বাধত রবির। মা-বাবর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনতেন তিনি। মা-বাবাকে খুনের হুমকিও দিতেন।
শনিবার রাতে চণ্ডীদেবী ছাড়া বাড়ির সকলেই গিয়েছিলেন যাত্রাপালা দেখতে। পালা চলাকালীন রবিকে সেখান থেকে উঠে চলে আসতে দেখেন অনেকে। গৌরবাবু বলেন, “রাত ১টা নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখি খাট-বিছানা রক্তে ভেসে যাচ্ছে। স্ত্রীর দেহে প্রাণ নেই। কয়েক দিন আগে সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে বাঁশের ঘা মেরে বড় ছেলের হাত ভেঙে দিয়েছিল রবি। আগে মাকেও মেরেছে। মদ খেয়ে আমাদের প্রায়ই খুনের হুমকি দিত। নিজের মাকে ও-ই খুন করেছে।” গৌরবাবু জানান, মদ খাওয়া ছাড়াও আরও নানা ‘বদ-নেশা’ ছিল মেজো ছেলের। যে কারণে তার সংসারের ভরণপোষণের দায়ও নিতে হয় গৌরবাবুদের।
পুলিশ জানায়, চণ্ডীদেবীর বাঁ কানের উপরে কুড়ুল দিয়ে ঘা মারার গভীর ক্ষত আছে। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
মারধর, ধৃত ৪। মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল চার জনকে। শনিবার রাতে খানাকুলের উবিদপুর গ্রামে একটি শীতলা পুজোর প্রসাদ খাওয়াকে কেন্দ্র করে পুজো কমিটির লোকজনের সঙ্গে বচসা বাধে স্থানীয় কিছু বাসিন্দার। পরে কমিটির লোকজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গ্রেফতার করা হয় রবিন সাঁতরা, শীতল সাঁতরা, দুর্গা সাঁতরা এবং বাবলু সাঁতরাকে। পুজো কমিটির সম্পাদক অশোককুমার চোঙদার বলেন, “ওই চার জন মন্দিরের চাতালে বসেই প্রসাদ খেতে চেয়েছিল। ওদের বলা হয়, বাইরে এসে সকলের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িতে প্রসাদ নিতে। এই নিয়ে বচসার জেরে পুজো কমিটি এবং উপস্থিত ভক্তদের লাঠিসোঁটা নিয়ে মারধর শুরু করে ওই চার জন।” স্থানীয় মানুষ সকলেক ধরে ফেলে পাল্টা মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। |