ছত্তীসগঢ়ের সুকমার অপহৃত জেলাশাসক অ্যালেক্স পল মেননের মুক্তির ব্যাপারে মাওবাদীদের পাঠানো বার্তা নিয়ে শুরু হল আলোচনা।
মাওবাদীদের কাছ থেকে ফিরে তাঁদের দুই মধ্যস্থতাকারী বি ডি শর্মা এবং জি হরগোপাল রবিবার রাতে আলোচনায় বসেন সরকারের তরফের দুই মধ্যস্থতাকারী নির্মলা বুচ এবং সুযোগ্য মিশ্রের সঙ্গে। তৃতীয় দফার এই বৈঠক চলে প্রায় চার ঘণ্টা। আজ, সোমবার সকাল ন’টা থেকে আলোচনার চতুর্থ পর্ব শুরু হতে চলেছে। বৈঠকের পরে অধ্যাপক হরগোপাল রাতে ফোনে আনন্দবাজারকে বলেন, “যা বলার বৈঠকে বলেছি। মাওবাদীরা যা বলছেন, তা সরকারকে জানানো হবে। আলোচনা মোটামুটি ঠিক আছে।”
রবিবার রাতেই সরকার পক্ষের দুই মধ্যস্থতাকারী নির্মলা বুচ এবং সুযোগ্য মিশ্র মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহের সঙ্গে দেখা করে এ দিনের আলোচনার বিষয়বস্তু জানান। মুখ্যমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এন রাজেশ কুমার বলেন, “আলোচনা ভাল হয়েছে। কাল সকালে ক্যাবিনেট সাব-কমিটির বৈঠক বসবে। তার পরে মধ্যস্থদের আলোচনা শুরু হবে।”
|
অ্যালেক্স পল মেনন |
টারমেটলার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে বি ডি শর্মা এবং জি হরগোপাল জানান, মেননের সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়নি। তবে মাওবাদীরা জানিয়েছে জেলাশাসক ভাল আছেন। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, দণ্ডকারণ্যের মাওবাদী নেতৃত্ব মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনায় কিছু কিছু বিষয়ে একমত হননি। বৈঠকে তাঁদের সঙ্গে মাওবাদীদের যে মতবিরোধ হয়েছে, রবিবার কার্যত তা স্বীকার করে নিয়েছেন বি ডি শর্মা। মাওবাদী ডেরায় প্রায় ২০ ঘণ্টা কাটিয়ে ফেরা বি ডি শর্মা ফোনে আনন্দবাজারকে বললেন, “কথাবার্তা ভালই হয়েছে।” মতবিরোধ হয়নি? শর্মার জবাব: “কিছু কিছু বিষয়ে মতানৈক্য তো থাকতেই পারে। আমি যদি বলি দু’পক্ষই ১০০ শতাংশ সহমত হয়েছে, তা হলে তা কৃত্রিম শোনাবে।” রবিবার সকালে টারমেটলা থেকে মোটরবাইকে চিন্তলনাড়ে ফেরেন দুই মধ্যস্থতাকারী। তাঁরা দৃশ্যতই ক্লান্ত ছিলেন। চিন্তলনাড়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে দু’জনের কেউই মুখ খুলতে চাননি।
এর মধ্যেই মেনন অপহরণ-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন ছত্তীসগঢ়ের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা অজিত জোগী। রবিবার নিজের জন্মদিন পালনের ফাঁকে তিনি ফোনে আননন্দবাজারকে বলেন, “সরকারি তৎপরতায় আমি একেবারেই সন্তুষ্ট নয়। শুরুর দিকে কয়েক দিন সময় নষ্ট হয়েছে। মাওবাদীদের দাবির কথা তো প্রথমে জানতই না সরকার।” যদিও মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ মেননের অপহরণের ব্যাপারে এ দিন রাজ্যবাসীর ধৈয্যের প্রশংসা করেছেন। |