স্মরণসভায় অনুপস্থিত জেলা সভাপতি
নিজস্ব সংবাদদাতা • নানুর |
ফের জেলা সভাপতিকে বাদ দিয়ে রবিবার নানুরে সভা করল তৃণমূল। এ দিন কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ সাহনেওয়াজের গ্রাম পাপুড়িতে শহিদ স্মরণে সভা হয়। সেখানে কেতুগ্রামের বিধায়ক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী নুরে আলম চৌধুরী, বিধায়ক তথা জেলা চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বপনকান্তি ঘোষ, গদাধর হাজরা। উপস্থিত ছিলেন না জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। প্রসঙ্গত, বোলপুরে কয়েক মাস আগে সম্মেলন করেছিলেন জেলা সভাপতি। তারই ‘পাল্টা’ হিসেবে দলের অন্য গোষ্ঠী সভার ডাক দিয়েছিল। পুলিশকে দিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করে সেই সভা করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত বিরোধী গোষ্ঠী নানুরের মোহনপুরে সভা করে। তৃণমূলের নানুর ব্লক কার্যকরী সভাপতি অশোক ঘোষ অবশ্য বলেন, “গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কোনও ব্যাপার নেই। জেলা সভাপতিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।” তিনি জানান, বাসাপাড়ায় মূলত সূচপুর গণহত্যায় নিহতদের স্মরণ করা হয়। এ দিন বর্ধমান ও বীরভূমের সমস্ত শহিদ পরিবারকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এই প্রথম স্মরণসভা করা হয়। অনুব্রতবাবুর পাল্টা দাবি, “আমাকে সভার কথা জানানো হয়নি। তা ছাড়া, আমি নলহাটি পুরভোট নিয়ে ব্যস্ত।” |
উদ্ধার বোমা, ধৃত ৫ দুষ্কৃতী
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
পুলিশের উর্দি পরে পথচলতি মানুষের কাছ থেকে লুঠপাট করার অভিযোগে বোলপুর থানার পুলিশ শনিবার বোমা-সহ পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল। উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা, বোমা তৈরির মশলা, রড ও ভোজালি। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে পাঁচজনকে ধরা হয়েছে।” পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় বোলপুর-পালিতপুর রাস্তায় মোটরবাইক আটকে ওই দুষ্কৃতীরা নানুরের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটরবাইক-সহ লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই করে পালায়। ওই রাতেই ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে দুষ্কৃতীরা প্রায় দশটি মোটরবাইক ও সাইকেল আরোহীর উপর হামলা চালিয়ে লুঠপাট করে। নিজেকে থানার ‘বড়বাবু’ পরিচয় দিয়ে ওই দুষ্কৃতীদের একজন পুলিশের কাছে অভিযোগ না জানানোর জন্য শাসানিও দেয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার ও শনিবার দু’দিন জুড়ে ওই দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন বোলপুরের বাসিন্দারা। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ শনিবার সন্ধ্যায় তিন দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি দু’জনকেও ধরা হয়। রবিবার বোলপুর আদালত ধৃতদের ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেয়। |
যাত্রী বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
টিকিট থাকা সত্বেও গন্তব্যে যেতে দেওয়া হয়নি, উল্টে তাঁদের মারধর করা হয়েছে। এই অভিযোগে রবিবার সকালে রামপুরহাট স্টেশনে বিক্ষোভ দেখালেন যাত্রীরা। এর ফলে ২০ মিনিট দেরিতে ছাড়ে মুম্বইগামী কামাক্ষা-মুম্বই কর্মভূমি এক্সপ্রেস। রামপুরহাটের দাদপুর গ্রামের বাসিন্দা লেবু শেখ, সাবিব শেখদের অভিযোগ, “এলাকার প্রায় ৬০-৭০ জন শ্রমিক মুম্বই যাওয়ার জন্য রামপুরহাট স্টেশনে বসে ছিলাম। ৩০ মিটির দেরিতে ট্রেন আসে। ওই ট্রেনে উঠতে গিয়ে দেখি তিনটি কামরার দরজা বন্ধ করে রেখেছে জওয়ানরা। ডাকাডাকি করলেও তারা দরজা খুলতে চায়নি। রেল পুলিশকে বলার পরে কামরায় উঠতে পারলেও সিটে বসা নিয়ে জওয়ানদের সঙ্গে ঝামেলা বাধে। তারা কয়েক জন যাত্রীকে মারধর করে। শুধু তাই নয়, ভয়ে যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে পড়েন।” স্টেশন মাস্টার দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, “ভিড় থাকায় জায়গা কম ছিল। বসার জায়গা না পেয়ে কিছু যাত্রী বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। রেল পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।” |
ভাটিতে হানা
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়ূরেশ্বর |
জাল মদ তৈরির বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করল জেলা আবগারি দফতর। শুক্রবার ময়ূরেশ্বরের নারায়ণঘাটিতে একটি বেআইনি মদ তৈরির ভাটিতে অভিযান চালিয়ে ১৫০ লিটার স্পিরিট, ২টি পাঞ্চিং মেশিন ও ৩০০টি বোতলের ছিপি-সহ বেশ কিছু সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়। আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকান লাগোয়া এক পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে সামগ্রীগুলি উদ্ধার হয়। যদিও জেলা মদ ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, ওই লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকানের যোগসাজসেই জাল মদ তৈরি করে জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছিল। ওই ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, আবগারি দফতরের কিছু কর্মী লাইসেন্সপ্রাপ্ত ওই মদের দোকানের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। জেলা আবগারি দফতরের সুপারিন্টেডেন্ট রাম রায় সরকার বলেন, “বিভাগীয় তদন্ত চলছে। কারা ওই কারবারের সঙ্গে জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তাঁর আশ্বাস, “লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকানটি ওই ঘটনায় যুক্ত থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
কীটনাশক খেয়ে মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাজনগর |
কীটনাশক খেয়ে মৃত্যু হল এক কিশোরের। শনিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে রাজনগর থানা এলাকার আড়ালি গ্রামে। পুলিশ জানায় মৃতের নাম সুবরাতি খান (১৩)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যদিও ওই গ্রামের বাসিন্দা মৃত কিশোরের বাবা গেঁদা খানের দাবি, তাঁর ছেলেকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, “ছেলে গ্রামের একটি পরিবারের গরু চরানোর কাজ করত। ওই বাড়ির মালিকের দাদার বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করত এক যুবতি। দুই পরিবারের দুই যুবক রেজাউল খান ও রিয়াজ খানের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই পরিচারিকা। এই অপকর্মের দায় আমার ছেলের উপর চাপাতে চেয়েছিল ওই দুই যুবক। এ নিয়ে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিল তারা। সেটা সহ্য করতে না পেরেই ছেলে কীটনাশক খেয়েছে। সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে কিছুক্ষণের মধ্যে সে মারা যায়। দুই যুবকের নামে রাজনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।” রেজাউল খান ও তার জ্যাঠতুতো ভাই রিয়াজ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এ নিয়ে মুখ খোলেননি তাদের পরিবার এবং ওই পরিচারিকা। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাসি শুরু হয়েছে, ওই পরিচারিকাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। |
কীটনাশক খেয়ে মৃত্যু হল দ্বিগম্বর সিংহ (২৭) নামে এক যুবকের। রামপুরহাট ২ নম্বর ওয়ার্ডের তাঁর বাড়ি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামপুরহাটের নিশ্চিন্তপুরের বাসিন্দা কড়ি রাউত নামে এক তরুণী সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি। শনিবার বিকেলে মহম্মদবাজারের গণপুর জঙ্গল থেকে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়। পুলিশের অনুমান, পারিবারির কারণে তাঁরা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। |