সম্প্রতি রবীন্দ্রসদনে অনুষ্ঠিত হল তৃতীয় সহজিয়া উৎসব। দশ জন লোকসঙ্গীত গায়ক এবং বাদককে ‘সহজিয়া সম্মান’ দেওয়া হল। এর পর গাইল সহজিয়া। একতারা, দোতারা, খমক, খোল, ঢোল, বাঁশি, ড্রাম, কি-বোর্ড, বেস গিটার, ওয়ার্লড পারকাশন আর তার সঙ্গে দেব চৌধুরীর খোলা গলায় অসাধারণ আবহ তৈরি হয়েছিল। লালনের গান ‘ধন্য ধন্য বলি তারে’ অথবা ‘ময়মনসিংহ গীতিকা’ কিংবা বব ডিলানের ‘ট্যাম্বুরিন ম্যান’ সহজেই মিশে গেল ফকিরি গানের সঙ্গে। |
বাপ্পার বাঁশি-ব্যাঞ্জো-ম্যান্ডোলিন, শরদিন্দুর ওয়ার্লড পারকাশন, কুশলের ড্রামস, রাজদীপের বেস গিটার, সুসেনের কী-বোর্ড, সন্দীপের হারমোনিয়াম, ক্ষুদিরামের বাংলা ঢোল আর দেবের কণ্ঠ, দোতারা, খমক। শেষ গানে মঞ্চে এলেন পবন দাস বাউল। গাইলেন ‘বাঁকা নদীর পেছল ঘাটে’। যুগলবন্দি হল সহজিয়া আর পবন দাসের। এর পর তিনি গাইলেন ভবা পাগলা, লালন আর ফুলসুবুদ্দিনের গান। তাঁর সঙ্গী খোলে তিলক মহারাজ, দোতারায় নিমাই দাস, খমকে স্বপন দাস, পারকাশনে মিমলু আর গিটারে জুলিয়ানো। মঞ্চ জুড়ে ক্যানভাসে ছবি আঁকলেন, গাইলেন হিরণ মিত্র। অনুষ্ঠানটির আয়োজক সহজিয়া।
|
বিড়লা অ্যাকাডেমির প্রেক্ষাগৃহে প্রতি বছরের মতো এ বারও গত বছরের মেধা সন্ধান প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থানাধিকারীদের নিয়ে এক উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের আয়োজন করেছিল ডোভার লেন মিউজিক কনফারেন্স। দু’দিনের আসরের সূচনা হয় শ্রুতি গুপ্তের রাগপ্রধান ভজনে। সঙ্গতে ছিলেন দেবজিৎ পতিতুণ্ডি। ধ্যানেশ খানের ছাত্র অমিতাভ মজুমদার নিষ্ঠা সহকারে ভূপালি বাজান। শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের তবলা তাঁকে অনুপ্রাণিত করে। ওঙ্কার দাদারকারের কণ্ঠসঙ্গীত একটি উপভোগ্য এবং রসোত্তীর্ণ নিবেদন। গেয়েছিলেন মিয়া মল্লার ও ভৈরবী ভজন। হারমোনিয়ামে গৌরব চট্টোপাধ্যায়, তবলায় সঞ্জয় অধিকারী ভূমিকা পালনে ত্রুটিহীন ছিলেন।
দ্বিতীয় অধিবেশনে স্বয়ংদ্যুতি মজুমদারের কণ্ঠে পুরিয়া ধানেশ্রী ও তিলক কামোদ প্রশংসিত হয়। হারমোনিয়ামে প্রদীপ পালিত ও তবলায় নিলিমেষ চক্রবর্তী যোগ্য সঙ্গত করেন। অর্পণ কাঞ্জিলালের তবলার সঙ্গে সৌমিত্র ঠাকুরের সেতারে ইমন শ্রুতিসুখকর। তুষার দত্ত পরিণত শিল্পী। সুনাম অনুযায়ী পরিবেশন করেন বাগেশ্রীর আলাপ ও দেশ-এর একটি বন্দিশ। হারমোনিয়ামে গৌরব চট্টোপাধ্যায়
ও তবলায় সমর সাহা সার্থক
সঙ্গত করেন। |