টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ
তিন কোটির কাজ স্থগিত
টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে পূর্ত দফতরের প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার রাস্তার কাজে স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা আদালত। প্রথমে একবার অন্তর্বতীর্কালীন স্থগিতাদেশ দেওয়ার পরেও রাস্তার কাজ শুরু হয়ে যাওয়ায় পাকাপাকিভাবে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। অনিয়মের অভিযোগের মামলাটির নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রাস্তার কাজ শুরু করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। চলতি বছরের মার্চ মাসে পূর্ত দফতরের নির্মাণ বিভাগের অধীক্ষক বাস্তুকারের জলপাইগুড়ির দফতর থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৮টি কাজের জন্য টেন্ডার করা হয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের হয়ে পূর্ত দফতর রাস্তার কাজগুলি টেন্ডার করে শুরু করে। সেখানে টেন্ডার জমা দেওয়ার দিন তিনটি শ্রমিক সমবায় সংস্থাকে ইচ্ছেকৃতভাবে দরপত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সংস্থার প্রতিনিধিরা দরপত্র জমা দিতে গেলে কিছু অপরিচিত ব্যাক্তি তাঁদের থেকে দরপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ। এতে সাড়ে তিন কোটি টাকার রাস্তার কাজে দরপত্র জমা দেওয়ার পদ্ধতি স্বচ্ছ হয়নি বলে আদালতে অভিযোগ জানানো হয়। বিষয়গুলি পূর্ত দফতরের অধীক্ষক বাস্তুকারকে ঘটনাটি জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে টেন্ডার প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করে গত মাসে শ্রমিক সমবায় সংস্থাগুলি জেলা আদালতে বিষয়টি নিয়ে মামলা দায়ের করে। গত ২১ মার্চ আদালতে মামলা দায়ের করার পরে গত ২৯ মার্চ আদালত তিনটি রাস্তার কাজে স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেয়। তবে আদালতের নির্দেশের আগের দিনই পূর্ত দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট রাস্তাগুলির নির্মাণ কাজ শুরু করার নির্দেশ দেয়। আদালতের স্থগিতাদেশের পরোয়া না করে কাজগুলি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ফের আদালতে নালিশ জানায় সমবায় সংস্থাগুলি। এরপরে গত ২০এপ্রিল জেলা আদালতের সিনিয়র জজ সিভিল ডিভিশন মণিকুন্তলা রায় পাকাপাকি ভাবে রাস্তার কাজে স্থগিতরাখার নির্দেশ দেন। সমবায় সংস্থাগুলির আইনজীবী পার্থ চৌধুরী বলেন, “গত ২৯ মার্চ আদালত স্থগিতাদেশ জারি করলেও পূর্ত দফতর তার তোয়াক্কা না করে রাস্তার কাজ চালিয়ে যেতে বলে। আদালতের নির্দেশ না মানায় পাল্টা অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়েছে।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর জলপাইগুড়ির বোদাগঞ্জ ও বন্ধুনগর এলাকা সহ বেশ কয়েকটি রাস্তা তৈরির ভার দেয় পূর্ত দফতরকে। সেইমত পূর্ত দফতর গত মার্চ মাসে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করে। শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি দুই দফতরেই দরপত্র জমা নেয়। পূর্ত দফতর জলপাইগুড়িতে দরপত্র জমা দেওয়া নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি আদালত পর্যন্ত্য গড়িয়েছে। পূর্ত দফতরের নির্মাণ বিভাগের অধীক্ষক বাস্তুকার সুধীশ নন্দী বলেন, “একসঙ্গে আটটি কাজের টেন্ডার হয়েছিল। ৬৬জন ঠিকাদার সংস্থা অংশগ্রহন করেন। তাঁদের মধ্যে তিনটি সংস্থা দরপত্র জমা দিতে পারেনি বলে অভিযোগ জানিয়েছিল। তাঁরা যে তিনটি রাস্তার কাজে দরপত্র জমা দিতে পারেনি সেগুলি বর্তমানে আদালতের বিচারাধীন।” জেলার সরকারি আইনজীবী গৌতম দাস বলেন, “বিষয়টি বিচারাধীন। আদালতের কাছে সরকারের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.