রবীন্দ্র-উৎসবে কেন্দ্রের অনুদান নেবে না রাজ্য |
রবীন্দ্র সার্ধশতবর্ষ পালনের ক্ষেত্রে মুড়ি-মিছরির তফাৎ না রাখার প্রতিবাদে ওই খাতে কেন্দ্রীয় অনুদান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করাতে প্রতিটি রাজ্যকে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন, পশ্চিমবঙ্গে রবীন্দ্রনাথের যে প্রাসঙ্গিকতা, হরিয়ানায় তা থাকতে পারে না। সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে উদ্যোগ ও দায়বদ্ধতা দেখিয়েছে ও দেখাচ্ছে, তার সঙ্গে অন্য রাজ্যের তুলনা হয় না। অথচ কেন্দ্রের বরাদ্দ সব রাজ্যের জন্য সমান! এর প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় অনুদান গ্রহণ করতে নারাজ রাজ্য। রাজ্যের বক্তব্য চিঠি দিয়ে জানানো হবে দিল্লিকে। ক্ষমতায় এসে সারা বছর ধরে রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতবর্ষ পূর্তি উৎসব পালন করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মমতা। বছরটিকে স্মরণীয় করে রাখতে আগামী ৮ মে (২৫ বৈশাখ) রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনটি ‘জাতীয় ছুটি’ ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আবেদনও জানান মুখ্যমন্ত্রী। এত উদ্যোগ সত্ত্বেও প্রতিটি রাজ্যের জন্য একই অনুদানের ঘোষণায় ক্ষুব্ধ মমতা। তাঁর নির্দেশেই ১০ লক্ষ টাকা অনুদান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
|
অপ্রচলিত শক্তি নীতির খসড়া শীঘ্রই মন্ত্রিসভায় |
প্রথাসিদ্ধ পথে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে অপ্রচলিত উৎস থেকে বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট নীতি চালু করতে চায় রাজ্যের নতুন সরকার। ‘অপ্রচলিত শক্তি নীতি’র একটি খসড়া তৈরিও হয়ে গিয়েছে। অনুমোদনের জন্য খুব শীঘ্রই সেটি মন্ত্রিসভায় পেশ করা হবে। বিদ্যুৎ দফতর সূত্রের খবর, আগামী দিনে অপ্রচলিত বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বেসরকারি লগ্নি টানা হবে ওই নীতির ভিত্তিতেই। সেই সঙ্গে সরকারি উদ্যোগেও বেশ কিছু বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। এই নীতি কেন প্রয়োজন, বৃহস্পতিবার তা ব্যাখ্যা করেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত। তিনি বলেন, “তাপবিদ্যুৎ ও জলবিদ্যুতের মতোই অপ্রচলিত শক্তি ক্ষেত্রেও উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাই। সুনির্দিষ্ট নীতি থাকলে বেসরকারি সংস্থাগুলিও এই শিল্পে লগ্নি করতে উৎসাহ পাবে।”বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্তার দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সহায়তায় সুন্দরবনের বিভিন্ন গ্রামে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প রূপায়ণে রাজ্য সরকার অনেকটাই সাফল্য পেয়েছে। দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই প্রথম বিভিন্ন বাণিজ্যিক ভবন, কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাড়ির ছাদে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হয়। এই ধরনের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ অন্যান্য রাজ্যকে পথ দেখিয়েছে বলে ওই কর্তা জানান। সুনির্দিষ্ট একটি নীতি চালু হয়ে গেলে অপ্রচলিত বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে আরও ভাল কাজ করা যাবে বলে মনে করছেন বিদ্যুৎকর্তাদের একাংশ। রাজ্যে এত দিন ভারী ও মাঝারি শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প নিয়ে সরকারের ঘোষিত নীতি থাকলেও অপ্রচলিত শক্তি নিয়ে সুনির্দিষ্ট নীতি ছিল না। ব্রিটিশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় পরামর্শদাতা সংস্থা প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপার্সকে দিয়ে সমীক্ষা চালানোর পরে রাজ্যের অপ্রচলিত শক্তি নীতির খসড়াটি তৈরি করা হয়েছে।
|
সমবায় নিয়ে তদন্ত মন্ত্রীর |
সুশান্ত ঘোষ এবং এন্তাজ আলির এলাকার সমবায় সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে পশ্চিমবঙ্গ অত্যাবশ্যক পণ্য সরবরাহ নিগম। পশ্চিম মেদিনীপুরের তিনটি সিপিএম পরিচালিত সমবায় সংস্থাকে বিনা-টেন্ডারে সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প (আইসিডিএস)-এর খাদ্য সরবরাহের বরাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল নিগমের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে গড়বেতার সমবায়টি সিপিএম বিধায়ক সুশান্তবাবু এবং কেশপুরের সমবায়টি এন্তাজের এলাকাভুক্ত। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ অত্যাবশ্যক পণ্য সরবরাহ নিগমের চিফ জেনারেল ম্যানেজার গোপীনাথ মুখোপাধ্যায় এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, ‘ওই তিনটি কো-অপারেটিভ সোসাইটির উপর তদন্ত করা হবে’। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই তিন সমবায় সংস্থাকে নিগম বিবেচনার বাইরে রাখবে বলে চিঠিতে জানান তিনি। তাঁর দাবি, ওই তিন সমবায় সংস্থাকে আইসিডিএস-এর খাদ্য সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য প্রাথমিক ভাবে বাছা হয়েছিল। কিন্তু সংস্থাগুলি ‘সিকিউরিটি’ বাবদ টাকা জমা দেয়নি ও তাদের খাদ্য সরবরাহের নির্দেশও দেওয়া হয়নি। তার আগেই বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ ওঠায় বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্য সমবায় সমিতিকে খাদ্য সরবরাহের সাময়িক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে দাবি গোপীনাথবাবুর।
|
সিএসটিসি-র ৬০ জন বাসচালক ও কন্ডাক্টরকে কর্তৃপক্ষ বদলি করেছিলেন। সেই বদলির বিরুদ্ধে ওই চালক ও কন্ডাক্টরেরা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন। বৃহস্পতিবার শুনানির সময় আবেদনকারীদের তরফে বলা হয়, এই বদলি বিধি মেনে হয়নি। সরকার পক্ষের আইনজীবী বলেন, কলকাতার বাইরে সিএসটিসি-র বাস চলে না। সব বদলিই কলকাতার এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায়। তাই দুরে যেতে হবে বা ছেলেমেয়েরা এখানে স্কুলে পড়ে বলে অসুবিধা হওয়ার প্রশ্ন নেই। |