তৃতীয় বর্ষের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার দিন পেরিয়ে গিয়েছে। অথচ আগে পরীক্ষার্থীদের ওই পরীক্ষার দিন জানাননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ জন্য বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া জগন্নাথ কিশোর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে তদন্তের দাবি জানাল কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদ। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কলেজের টিচার ইনচার্জকে এ নিয়ে ‘শো-কজ’ করতে চলেছে। |
জগন্নাথ কিশোর কলেজের ‘মাইক্রো-বায়োলজি’ বিভাগের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার দিন ছিল গত সোমবার ও মঙ্গলবার। ছাত্র সংসদের অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই পরীক্ষার জন্য কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেননি বা পরীক্ষার্থীদের জানানোও হয়নি। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরে কলেজে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরীক্ষার্থী প্রীতম বিশ্বাস, দীপাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়দের অভিযোগ, “চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে আমাদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা কবে নেওয়া হবে তা কলেজ কর্তৃপক্ষ তখন জানাননি। পরে জানতে পারি ওই পরীক্ষার দিন পেরিয়ে গিয়েছে। অথচ কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের জানাননি।’’ কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক তারিণী মাহাতো বলেন, “প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার দিনক্ষণ কি কলেজ কতৃর্র্পক্ষ জানতেন না? কলেজ কতৃর্র্পক্ষ কেন পরীক্ষার্থীদের কাছে তা গোপন রাখলেন?” টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি গৌতম রায় বলেন, “এই ঘটনায় কেউ দোষি প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে।” কলেজের টিচার ইনচার্জ মহাদেব চন্দ্র বলেন, “ওই পরীক্ষার দিনক্ষণ সময় মতো কেন জানানো হয়নি তা দেখা হচ্ছে। তবে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আগামী ৭ ও ৮ মে. আসানসোলে ওই পরীক্ষা নেওয়া হবে।” তিনি জানান, এ নিয়ে পরিচালন সমিতির বৈঠকে আলোচনা করা হবে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরীক্ষা নিয়ামক রামবিলাস মহাপাত্র বলেন, “ঘটনার কথা আমি শুনেছি। এই ঘটনা সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্র্তৃৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার উদাহরণ। আমরা ওই কলেজকে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার সূচী যথাসময়ে পাঠানো সত্ত্বেও কেন কলেজ কর্ত্তৃপক্ষ তা ছাত্রদের জানাননি, বোধগম্য হচ্ছে না। এজন্য আমরা ঐ কলেজের টিচার ইনচার্জকে ‘শো-কজ’ করা হচ্ছে।” তিনি জানান, পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাঁদের ফের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। |