জামিন, তবু দেবলীনা আটকে অন্য মামলায় |
নোনাডাঙায় উচ্ছেদ-বিরোধী আন্দোলনে গত ৮ এপ্রিল দেবলীনা চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করার পরেই মাওবাদী-সংস্রবের একাধিক মামলায় তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার নোনাডাঙার মামলায় জামিন পেলেন দেবলীনা। কিন্তু অন্য মামলায় জামিন না-হওয়ায় জেল-হাজত থেকে মুক্তি পেলেন না তিনি। নন্দীগ্রাম ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে খুন, দেশদ্রোহ এবং বেআইনি কার্যকলাপ দমন আইনে গুরুতর অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিজ্ঞান সরকারও এ দিন নোনাডাঙার মামলায় জামিন পেয়েছেন। কিন্তু নন্দীগ্রামের একটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধেও রাষ্ট্রদ্রোহ এবং বেআইনি কার্যকলাপ দমন আইনে অভিযোগ রয়েছে। ফলে তিনিও মুক্তি পাননি। দেবলীনা ও অভিজ্ঞানকে এ দিন আলিপুরে অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হয়। তাঁদের আইনজীবী শুভাশিস রায় জামিনের আবেদন জানান। সরকারি আইনজীবী তপন সাহাও বিরোধিতা করেননি। নোনাডাঙায় ৮ এপ্রিল দেবলীনা-অভিজ্ঞান-সহ সাত জন গ্রেফতার হন। বিজ্ঞানী পার্থসারথি রায় এবং অন্য অভিযুক্তেরা আগেই জামিন পেয়েছেন। নন্দীগ্রামের মামলায় বুধবার দেবলীনা-অভিজ্ঞানদের হলদিয়া এসিজেএম আদালতে তোলা হয়েছিল। তাঁদের ১২ দিনের জন্য জেল-হাজতে পাঠানো হয়। দেবলীনার বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে দু’টি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে একটি মামলা ঝুলছে। অভিজ্ঞানের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে একটি মামলা আছে। বিষ্ণুপুরের মামলায় দেবলীনাকে ৫ মে আলিপুর আদালতেই তোলার কথা। ৭ মে দেবলীনা-অভিজ্ঞানকে নন্দীগ্রামের মামলায় ফের হলদিয়া আদালতে হাজির করাতে হবে।
|
আর জি করে সাততলা থেকে পড়ে মৃত্যু |
সাতসকালেই অঘটন আর জি কর হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার সকালে ওই হাসপাতালের সাততলা থেকে পড়ে এক যুবক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সঞ্জীব ঘোষ (২৫)। যক্ষ্মায় আক্রান্ত ওই যুবক সাততলার মেডিসিন ওয়ার্ডে ২৬ দিন ধরে ভর্তি ছিলেন। এ দিন অন্যান্য রোগী, চিকিৎসক এবং নার্সদের চোখের সামনেই তিনি ওয়ার্ডের গরাদহীন জানলা দিয়ে নীচে ঝাঁপ দেন বলে পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে। চিকিৎসকেরা পরে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গাইঘাটার বাসিন্দা সঞ্জীববাবু গত ৩১ মার্চ থেকে আর জি করে ভর্তি ছিলেন। চিকিৎসকদের বক্তব্য, ভর্তি করিয়ে দেওয়ার পর থেকে বাড়ির লোক ওই যুবককে দেখতে আসেননি। তিনি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। সকলের সামনে তিনি জানলা দিয়ে ঝাঁপ দিলেন কী করে? কেউ তাঁকে বাধা দিল না কেন? হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষ জানান, মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগীর তুলনায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ও নার্স কম। প্রত্যেক রোগীকে সব সময় চোখে চোখে রাখা অসম্ভব। কেউ যদি হঠাৎ দৌড়ে গিয়ে খোলা জানলা দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন, তা হলে আটকানো অসম্ভব। জানলায় গরাদ নেই কেন? হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কিছু দিন আগে গরাদ ভেঙে যায়। শীঘ্রই তা সারানোর কথা ছিল।
|
নগরায়নের পরিকাঠামোকে উন্নত করতে কলকাতায় ‘বেঙ্গল বিল্ডস্’ নামে এক আলোচনাসভার আয়োজন করছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। সঙ্গে কেএমআরসি, কেএমডিএ ও স্টেট হাইওয়ে অথরিটির মতো একাধিক সরকারি ও বেসরকারি দফতর থাকবে। এ বিষয়ে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বৃহস্পতিবার জানান, জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে মিলন মেলায় তিন দিনের আলোচনাসভার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, রাজ্যে আরও বেশ কয়েকটি টাউনশিপ তৈরির পরিকল্পনা করছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। পুরমন্ত্রী বলেন, “বেঙ্গল লিডসের মতোই বেঙ্গল বিল্ডস্-এর পরিকল্পনা হচ্ছে। এই ধরনের নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আলোচনায় ডাকা হবে।”
|
এক মহিলার কাছ থেকে সুকৌশলে সোনার গয়না হাতিয়ে পালাল দুই কেপমার। পুলিশ জানায়, বৌবাজারের মলঙ্গা লেনের বাসিন্দা শর্মিষ্ঠা দাস বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেন, বেলা ১১টা নাগাদ দুই যুবক তাঁর বাড়িতে আসে। সোনার গয়না পালিশ করে দেবে বলে তারা একটি পাত্রে রাসায়নিকের মধ্যে গয়না রেখে কাপড় চাপা দেয়। কিছুক্ষণ পরে শর্মিষ্ঠাদেবীর কাছে জল চায় ওই যুবকেরা। তিনি জল নিয়ে এলে তারা বলে, আধ ঘণ্টা পরে ঢাকনা সরিয়ে গয়না তুলে নিতে। মহিলার অভিযোগ, ওই যুবকেরা চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তিনি পাত্রের ঢাকনা সরিয়ে দেখেন গয়না নেই। পুলিশ জানায়, ওই যুবকদের ছবি এঁকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
|
কলকাতার দুই প্রান্তে দু’টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে বাঁশদ্রোণীর রবীন্দ্রপল্লির একটি বাড়িকে গদাধর দেবনাথ (২০) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যা। |