সচিন তেন্ডুলকর ফিরে এসেছিলেন দলে। কিন্তু লাসিথ মালিঙ্গা ছিলেন না। শেষ হিসাবে সচিনের প্রত্যাবর্তনের থেকেও আজ বড় হয়ে দাঁড়াল মালিঙ্গার না থাকাটা। মুম্বইয়ের ১৬৩ রান তাড়া করে তিন বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নিল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। সৌজন্যে শন মার্শের দুর্দান্ত ব্যাটিং। ৪০ বলে ৬৮ রান করে ম্যাচের সেরা এই বাঁ হাতি অস্ট্রেলিয়ান।
প্রথম ম্যাচে আঙুলে চোট পেয়েছিলেন সচিন। ফিরলেন পাঁচ ম্যাচ বাদে। এ দিন ২৩ বলে ২৩ করে সচিন রান আউট হওয়ার পর মুম্বই ইনিংসকে টানেন ওপেন করতে নামা জেমস ফ্র্যাঙ্কলিন। ৫১ বলে ৭৯ রান করে যান তিনি। একটা সময় তো মনে হচ্ছিল, মুম্বইয়ের রান ১৮০-র আশে পাশে চলে যাবে। কিন্তু পরের দিকে কেউ সে ভাবে ঝড় তুলতে না পারায় মুম্বইকে ১৭০-এর নীচেই আটকে থাকতে হয়। |
এই ম্যাচেও গিলক্রিস্ট খেলতে পারেননি। তাঁর জায়গায় নামা সাইনি (৩০) এবং মনদীপ (২৪) প্রথম উইকেটের জুটিতে ৬.২ ওভারে তোলেন ৪৮ রান। এর পর শুধুই মার্শ। শেষ ওভারে পঞ্জাবের দরকার ছিল ৯ রান। থিসারা পেরেরার প্রথম বলটাই পয়েন্টের উপর দিয়ে ছয় মেরে ম্যাচের ভাগ্য ঠিক করে দেন মার্শ।
হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মুম্বই অধিনায়ক হরভজন সিংহ বলেছেন, “দু’দলের ফিল্ডিংটাই তফাত গড়ে দিল। ওরা অন্তত ১৫ রান বাঁচিয়েছে। আমরা যদি পঞ্জাবের মতো ফিল্ডিং করতে পারতাম, তা হলে এই ম্যাচটা জিতে নিতাম।” সেটা হয়নি, এবং পঞ্জাবের কাছে হেরে মুম্বই কিন্তু ঝামেলায় পড়ে গেল। লিগ টেবলে তারা এখন ছয় ম্যাচে ছয় পয়েন্ট পেয়ে ছয় নম্বরে। তার উপর মালিঙ্গাকে হয়তো বেশ কয়েকটা ম্যাচের জন্য পাওয়া যাবে না। সব মিলিয়ে হরভজনের সামনে চ্যালেঞ্জটা বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে। |