পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত ভোটের আগের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপরেই নির্ভর করবে বলে জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রেলমন্ত্রী মুকুল রায়।
শনিবার মধ্যমগ্রামে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের বর্ধিত ‘কোর কমিটি’র বৈঠকের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে মুকুলবাবু বলেন, “বিগত নির্বাচনগুলিতে কখনও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়েছে, কখনও হয়নি। পঞ্চায়েত ভোটেও জোট হবে কি না, তা নির্ভর করবে সেই সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপরে। কেন্দ্রে কী অবস্থা থাকে, তা-ও দেখতে হবে। এখনই সেই সিদ্ধান্ত জানানোর সময় হয়নি।”
এ দিন পঞ্চায়েত ভোটেরই রণকৌশল ঠিক করতে তৃণমূলের তরফে ওই বৈঠক হয়। মুকুলবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সৌগত রায়, রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-সহ জেলার তৃণমূল সাংসদ, বিধায়ক, পুরপ্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে জেলা পরিষদ ‘দখল’ এবং পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক প্রচার করা নিয়ে আলোচনা হয়।
বর্তমানে জেলার অধিকাংশ পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে থাকলেও সেখানে ঠিক মতো উন্নয়ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে নানা মহলে। সে প্রসঙ্গে মুকুলবাবু বলেন, “জেলা পরিষদ সিপিএমের দখলে থাকায় উন্নয়নের কাজে কিছু সমস্যা হয়েছে। সে জন্য উন্নয়নের স্বার্থে এ বার জেলা পরিষদও দখলে আনতে হবে।” বস্তুত, উন্নয়ন হচ্ছে না, এই অভিযোগেই বাম পরিচালিত জেলা পরিষদের সভাধিপতির ‘ক্ষমতা’ কেড়ে নিয়ে কিছু দিন আগে জেলাশাসককে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
জেলায় পরপর খুন, ডাকাতি এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে বলে মানতে চাননি মুকুলবাবু। তাঁর দাবি, “আইনশৃঙ্খলার অবনতি নয়, উন্নতি হয়েছে। অপরাধ সংক্রান্ত জাতীয় তথ্যই বলছে, এই জেলায় অপরাধ আগের থেকে ৭৬ শতাংশ কমেছে।” দিন দশেক আগে বারাসতের কেমিয়া-খামারপাড়ায় তৃণমূল কর্মী-সহ একই পরিবারের তিন জনকে খুনে মূল অভিযুক্ত প্রভাস ঢালিও কয়েক দিনের মধ্যে ধরা পড়বে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুকুলবাবু। |