নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বড়দের তৈরি করা রেকর্ড অক্ষত রাখতে পারল না মোহনবাগানের যুব দল। ইস্টবেঙ্গলের কাছে ৩-০ বিশ্রী হেরে অনূর্ধ্ব ২০ আই লিগ থেকে ছিটকে গেল জহর দাসের মোহনবাগান। কলকাতার দুই প্রধান টুনার্মেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ায় কলকাতা থেকে মূলপর্বে গেল প্রয়াগ ইউনাইটেড এবং শিলং লাজং। শিলং এ দিন ১-০ হারায় প্রয়াগকে। ফলে তরুণ দে-র ইস্টবেঙ্গলের জিতেও লাভ হল না।
কল্যাণী স্টেডিয়ামে যুবদের ডার্বিতে জিতলেও ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে এ দিন তেমন উচ্ছ্বাস নেই। সেখানে ভিলেন হয়ে এখনও ঘুরছেন ২৪ ঘণ্টা আগের মরাগাওয়ে শুক্রবারের ডেম্পো-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের রেফারি গুজরাতের বিষ্ণু চৌহান। পক্ষপাতদুষ্ট রেফারিংয়ের অভিযোগ জানিয়ে শনিবার ফেডারেশনে প্রতিবাদপত্র জমা দিয়েছে লাল-হলুদ শিবির। তাতে বলা হয়েছে, “বারবার খারাপ রেফারিংয়ের শিকার হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার ডেম্পো ম্যাচেও পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে আমাদের। সিডি দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নিন আপনারা।” ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের ক্ষোভ অবশ্য আরও তীব্র হয়েছে টোলগে ওজবেকে ফেডারেশন ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করায়। ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে বললেন, “কলকাতায় যে বহু দিন লিগ আসছে না তার বড় কারণ জঘন্য রেফারিং। ডেম্পো ম্যাচে সেটা আবার প্রমাণিত। বারবার রেফারিদের জন্য আমরা জিততে পারিনি। ফেডারেশনকে আমরা চিঠি দিয়েছি। দেখি ওরা কী করে।” পাশাপাশি টোলগে নিয়েও ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলে দেন, “ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি গোয়াতে খেলতে যাওয়াই উচিত নয়। আমাদের কোচকে গ্রাউন্ড স্টাফ অপমান করল, আর তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে শাস্তি পেল টোলগে। পুরো বিষয়টি আমি কর্মসমিতিতে তুলব।”
শনিবারের যুব ডার্বি ঘিরে ময়দানে উত্তেজনা ছিল। দুই প্রধানই সিনিয়র টিম থেকে কিছু ফুটবলার নামায়। ইস্টবেঙ্গলের খেলেন বুধিরাম টুডু, জয়ন্ত পালরা। মোহনবাগান মণীশ ভার্গব, দীপকদের। ম্যাচ হাড্ডাহাড্ডি হয়নি। একতরফা ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে তিনটি গোল করেন ওয়াসিম, বুধিরাম এবং সৌমেন। মোহন কর্তারা আশা নিয়ে মাঠে গিয়েছিলেন ছেলেরা ডার্বি জিতে মূল পর্বে যাবে ধরে নিয়ে। খেলার পর অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত হতাশ গলায় বললেন, “ভেবেছিলাম কয়েকজনকে সিনিয়র দলের জন্য বাছব। একজনকেও পেলাম না।” |