নিরাপত্তাবাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে হাতিকেই ঢাল করেছে গারো জঙ্গিরা। গহন অরণ্যে পথ খুঁজতে, ঘাঁটি বানাতে হাতির করিডর বা চলাচলের রাস্তা ব্যবহার করছে তারা। আর সেই পথেই ভারতের সীমানা পেরিয়ে ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশেও। এমনটাই দাবি বিএসএফের।
বিএসএফ-এর আইজি সুদেশ কুমার বলেন, “হাতির চলাচলের পথকে এমনভাবে ব্যবহার করার ঘটনা নতুন ধারা। কেবল জিএনএলএ নয়, উত্তর-পূর্বের একাধিক সংগঠনের জঙ্গিরা জঙ্গলে চলাফেরার জন্য হাতিদের চলাচলের পথকেই অনুসরণ করছে। সেই সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে সাহায্য পাচ্ছে তারা। ফলে নিরাপত্তাবাহিনীর পক্ষে জঙ্গিদের নাগাল পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।” বিএসএফ জওয়ানরা জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়ে দেখেছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর প্রায় ২০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গভীর-দুর্গম অরণ্য রয়েছে। হাতির দলের বিচরণভূমি। নিয়মমতো, হাতির সঙ্গে সংঘাত এড়াতে হাতি চলাচলের পথে বেড়া বসানো বা টহলদারি করে না বিএসএফ। সেই সুযোগ নিচ্ছে জঙ্গিরা। হাতির দলের পিছু নিয়ে, তারা বাংলাদেশ চলে যাচ্ছে বা অরণ্যে ঘাঁটি গাড়ছে। জঙ্গলে জঙ্গিদের তল্লাশিতে গিয়ে বিএসএফ জওয়ানরা একাধিকবার হাতির আক্রমণের সামনে পড়েছেন। কুমার জানান, এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় বিএসএফ-ও বিশেষ কৌশল নিতে চলেছে। তাঁর দাবি, এতে সীমান্তে নজরদারিও বাড়বে, হাতির চলাফেরাও ব্যহত হবে না।
অন্য দিকে, আজ বেলা ১টা নাগাদ অসমের তিনসুকিয়ার, ডুমডুমা হাতিশাল গ্রামে পুলিশের সঙ্গে আলফার গুলির লড়াইয়ে বগেন মরান নামে এক জঙ্গি গুলিবিদ্ধ হয়। গ্রেফতার হয় তার সঙ্গী বাবুল বরুয়া। তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল ও বাইক উদ্ধার হয়েছে। গুলিবিদ্ধ জঙ্গি হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশের দাবি, ১৯ এপ্রিল রাতে লংপোটিয়া স্টেশনের কাছে রেলপথে যে বিস্ফোরণ হয়, সেই ঘটনায় অন্যতম সন্দেহভাজন অজয় গগৈকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে জেরায় জানিয়েছে, তার দাদা, আলফার কট্টর জঙ্গি অকন গগৈ ওরফে প্রদীপ ও গনেশ লাহোন বিস্ফোরণটি ঘটিয়েছে। |