বিধায়ক কেনাবেচা কাণ্ডে অবশেষে আসরে নামল সিবিআই তদন্তকারী দল। ঝাড়খণ্ডের বাতিল হওয়া রাজ্যসভা ভোটের তদন্ত শুরু করল তারা। তদন্তের প্রথম পর্বেই, আজ চারটি দলে বিভক্ত হয়ে একই সঙ্গে একই সময়ে সিবিআই হানা দেয় রাঁচি, জামশেদপুর, চাইবাসা এবং জামতাড়ায়। বাতিল ভোটের নির্দল প্রার্থী তথা শিল্পপতি আর কে অগ্রবাল, তাঁর জামাই, বেয়াইবাড়ি এবং তাঁর ম্যানেজারের পাশাপাশি তিনটি দলের তিনজন বিধায়কের বাড়িতেও সিবিআই অফিসাররা হানা দেয়।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, আজ জামশেদপুরের সার্কিট হাউস এলাকার বাসিন্দা আর কে অগ্রবালের বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের এক দল। ওই নির্দল প্রার্থীর ম্যানেজার ইস্পাতনগরীর বিষ্টুপুরের রামদাসভাট্টা এলাকার বাসিন্দা সুধাংশু ত্রিপাঠীর বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। হানা দেয় অগ্রবালের জামাই সৌমিত্র সাহার জামশেদপুরের ও বেয়াই আর কে সাহার চাইবাসার বাড়িতেও। ঝাড়খণ্ডে রাজ্যসভার ভোটে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ উঠেছিল আগেই। ঘটনাচক্রে গত ৩০ মার্চ ভোটের দিন সকালে নির্দল প্রার্থী আর কে অগ্রবালের আত্মীয়ের গাড়ি থেকে নগদ ২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা আয়কর দফতর উদ্ধার করে। এই ঘটনা ভোটে লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগকে শক্তিশালী করে। যার ফলে গত ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত রাজ্যসভার ভোট বাতিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
ভোট বাতিল করাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাঁচি হাইকোটে আবেদন করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ বালমুচু। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তদন্তের দায়িত্ব সিবিআই-এর হাতে তুলে দেয়। আজই তদন্ত শুরু করল তারা। ইতিমধ্যে ঝাড়খণ্ডে রাজ্যসভার দু’টি আসনে নতুন করে ভোট গ্রহণের জন্য কমিশন দিন ঘোষণা করেছে। আগামী ৩ মে নির্বাচন। আজ থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়ন জমা দেওয়া। প্রথম দিনেই মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিংহ অহ্লুওয়ালিয়া। সে সময় তাঁর পাশে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অজুন মুন্ডা এবং দলের রাজ্য শাখার প্রধান দীনেশানন্দ গোস্বামী।
মনোনয়নপত্র জমার পরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দীনেশানন্দ বলেন, “রাজ্য সরকারের সমস্ত শরিক দলের সমর্থনই আমাদের প্রার্থী পাবেন বলে আশা করছি।” ভোটের লড়াইয়ে সরকারের শরিক, জেএমএম-এর প্রার্থী থাকার কথা উল্লেখ করা হলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বিজেপি সভাপতির বক্তব্য, “আমরা তো কোনও শরিকের নাম আলাদা করে বলছি না। সরকারের সব শরিক দলের সমথর্ন পাব, এই আশা করার মধ্যে তো কোনও বিরোধ কিংবা বিতর্ক নেই।” |