দুই ইউনিয়নের ঝামেলায় ভেস্তে গেল কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সমবায় সমিতির নির্বাচন। শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ ভোট গণনার জায়গায় বিবদমান দু’পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পুলিশ ও সিআইএসএফ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার শমীদীপ ভট্টাচার্য জানান, কবে এই নির্বাচন হবে, তা নিয়ে কাল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি তাঁর রিপোর্ট সোমবারই কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেবেন।
বাম আমলে বহু দিন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মী ইউনিয়নে কর্তৃত্ব ছিল সিপিএম-এর। যদিও ঘোষিত রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় ছিল না তা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তৃণমূল সমর্থিত ইউনিয়ন গঠিত হয়। সমবায় সমিতির কর্তৃত্ব চেয়ে এ বারের নির্বাচনে অংশ নেয় তারা। দু’পক্ষেরই ১২ জন প্রার্থী ছিলেন। তবে কেউই কোনও রাজনৈতিক দলের ব্যানার ব্যবহার করেননি।
শুক্রবার ১০৩৬ সদস্যের মধ্যে (সাফাইওয়ালা থেকে অধিকর্তা) গোপন ব্যালটে ভোট দেন ৯৫২ জন। রাত ন’টার পর শুরু হয় গণনা। শুক্রবার চতুর্থ রাউন্ড গণনার সময়ে একটি টেবিল থেকে গণ্ডগোল শুরু হয়। বাম-সমর্থিত ইউনিয়নের সম্পাদক দীপঙ্কর ঘোষের অভিযোগ, “আমাদের প্রার্থীরা প্রতি রাউন্ডেই এগিয়ে ছিলেন। তাই ওরা ঝামেলা শুরু করে গণনা ভেস্তে দেয়।” অভিযোগ, বাম-সমর্থিত ইউনিয়নের সদস্যদের মারধর করা হয় ও সেই সময় তৃণমূল নেতারা লোকজন নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। বিমানবন্দরের নতুন তৃণমূল সমর্থিত ইউনিয়নের নেতা বরুণ নট্ট বলেন, ‘‘ব্যালট পেপারে যেখানে স্ট্যাম্প মারার কথা অনেকেই সেখানে মারেননি। বেশ কিছু ব্যালট পেপার বাতিল করতে হয়। এ নিয়েই বচসা হয়।” তৃতীয় রাউন্ডের শেষে গণনায় তাঁরাই এগিয়ে ছিলেন বলেও দাবি করেছেন বরুণবাবু। |