বাড়ির মালিককে ‘মৃত’ দেখিয়ে অন্যের নামে বাড়ি মিউটেশন করার ঘটনায় এফআইআর দায়ের করল কলকাতা পুরসভা। সম্প্রতি উত্তর কলকাতার গড়পারের বাসিন্দা দীপ্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে কাগজে-কলমে ‘মৃত’ দেখিয়ে তাঁর সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করেছিলেন মিনু দাস। দীপ্তিদেবীর মেয়ে বলে পরিচয় দিয়ে তাঁর বসত বাড়িটি নিজের নামে মিউটেশনও করে নিয়েছিলেন মিনুদেবী। শনিবার মিনু দাসের বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও সেই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা মিনুদেবী। এখনও তাঁর সন্ধান পায়নি পুলিশ।
কলকাতা পুরসভার রেকর্ড অনুযায়ী, ১৯৯৮ সাল থেকে ১০/ডি গড়পাড় রোডের ওই বাড়িটির মালিক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা দীপ্তিদেবী। অথচ ২৩ বছর আগে তিনি মারা গিয়েছেন, এমন ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ দেখিয়ে দীপ্তিদেবীর বাড়িটি মিউটেশন করতে যান মিনু দাস। ওই সার্টিফিকেট দেখে মিনু দাসের নামে বাড়িটি মিউটেশনও করে দেয় পুরসভা। পরে অবশ্য সশরীরে পুরসভায় গিয়ে বেহাত হওয়া সম্পত্তি উদ্ধার করেন দীপ্তিদেবী। ওই ঘটনায় পুরসভার অ্যাসেসমেন্ট বিভাগের জনা কয়েক অফিসারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু পুর-প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
এ দিন পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ জানান, মিউটেশনের সময় দীপ্তিদেবীর নামে যে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল তা জাল। কিন্তু পুরসভার সংশ্লিষ্ট অফিসারেরা তা যাচাই না করেই মিনু দাসের নামে মিউটেশন করে দিয়েছেন। অতীনবাবু বলেন, “শুধু মিনু দাস নয়, এর সঙ্গে পুরসভার কারা জড়িত সেটাও জানা দরকার। তদন্তের স্বার্থেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হল।”
প্রসঙ্গত, বাড়িটি পুনরুদ্ধার করার দিন কয়েক পরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মারা যান দীপ্তিদেবী। |