আমেরিকায় খুন হয়েছেন এক ভারতীয় ছাত্র। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, নিহত ছাত্রের নাম কে শেষাদ্রি রাও।
২৪ বছরের শেষাদ্রি ওড়িশার কোরাপুট জেলার জেপোরের বাসিন্দা। বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ পড়তে গিয়েছিলেন ওই যুবক। গত বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে অ্যালস্টন স্ট্রিটের কাছ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে বস্টন পুলিশ। শেষাদ্রির পা ও মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। কে বা কারা শেষাদ্রিকে মেরেছে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছে না পুলিশ। বর্ণবৈষম্যের কারণে তাঁকে গুলি করা হয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শেষাদ্রির বাবা সুধাকর রাও জানিয়েছেন, গত শুক্রবার রাত দু’টো নাগাদ একটি ফোন পান তাঁরা। বস্টন পুলিশ শেষাদ্রির কাছ থেকে কিছু কাগজপত্র পেয়েছিল। সেগুলি সম্পর্কে তারা সুধাকরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সুধাকর তখনই জানান, নিহত ছাত্র তাঁরই ছেলে শেষাদ্রি রাও।
তবে বস্টন পুলিশের খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় থাকলেও, সুধাকর কিন্তু ছেলের মৃত্যুর জন্য বর্ণবৈষম্যকেই দায়ী করেছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালেয়রই কিছু ছাত্র জোর করে তাঁর ছেলেকে ঘর থেকে বের করে আনে। তার পর তারাই গুলি করে মারে শেষাদ্রিকে।
সুধাকরের কথায়, “ঘটনার এক দিন আগেই ছেলের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। তখন সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্রের হাতেই খুন হয়েছে আমার ছেলে।” সুধাকর আরও জানিয়েছেন আমেরিকায় ভারতীয় দূতাবাস চেষ্টা করছে, যত দ্রুত সম্ভব শেষাদ্রির দেহ ভারতে পাঠানো যায়। শেষাদ্রির মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। ভুবনেশ্বরে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমি এই ঘটনার কড়া নিন্দা করছি। এ বিষয়ে খুব শীঘ্রই আমি বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলব।” |