হোটেলের ঘরে অস্বাভাবিক মৃত্যু মহিলার |
হোটেলের ঘরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক মহিলার মৃতদেহ মিলল শুক্রবার। তাঁর সঙ্গী পলাতক। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। ঘরের ভেতরে মিলেছে কয়েকটি মোবাইল নম্বর। তা থেকেই পলাতক ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে বর্ধমান থানা সূত্রে জানা গিয়েছে। বর্ধমান পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, ওই হোটেলের খাতা দেখে তারা জানতে পেরেছে মশাগ্রামের বাসিন্দা কুশল মিত্র শুক্রবার সকালে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে ওই মহিলাকে নিয়ে হোটেলের একটি ঘরে ওঠেন। |
হোটেল সূত্রে জানানো হয়, দুপুর ৩টে নাগাদ তাঁরা খাওয়াদাওয়া করেন। এর পরে ওই ব্যক্তি বাসের টিকিট কেটে আনতে যাচ্ছেন বলে হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। বেশ কিছুক্ষণ পরে হোটেলের কর্মচারিরা ঘরের ভিতর ওই মহিলার গলায় ফাঁস লাগানো দেহ পড়ে থাকতেন দেখেন। এর পরেই পুলিশে খবর দেন তাঁরা।
মহিলার সঙ্গী ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় সঠিক কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশে জানায়। যদিও তা সঠিক নয় বলেই প্রাথমিক তদন্তের পরে তাদের ধারণা। মহিলার পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
|
ঘাট ব্যবহার নিয়ে মারপিট শাঁখারি গ্রামে |
পুকুরের ঘাট ব্যবহার করাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষে মারপিটের ঘটনা ঘটে বুধবার রাতে খণ্ডঘোষের শাঁখারি গ্রামে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝামেলা থামালেও তার আগেই আহত হন একই পরিবারের এক মহিলা-সহ তিন জন। তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁরা বিজেপি-কর্মী বলে খণ্ডঘোষ থানা সূত্রে জানানো হয়েছে। গণ্ডগোলের মধ্যে একটি বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করা হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে অপর একটি বাড়ি-ও। তৃণমূলের বর্ধমান জেলা পর্যবেক্ষক অলোক দাস ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যান। তাঁর দাবি, “আহতেরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের সমর্থক। তাঁদের উপরে হামলা চালিয়েছে বিজেপি ও সিপিএমের সমর্থকেরা। অন্য দিকে, বিজেপির অন্যতম জেলা সম্পাদক প্রবাল রায় বলেছেন, “ঘটনার সঙ্গে আমাদের সমর্থকদের কোনও যোগাযোগ নেই। পুলিশ তবু তাদের গ্রেফতার করেছে। আমরা এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামব।” এই ঘটনায় তাঁদের কোনও সমর্থক জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, সংঘর্ষে যাঁরা জড়িয়ে পড়েছিলেন, তাঁরা তৃণমূল ও বিজেপির সমর্থক। |