মোহনবাগান-১ (ওডাফা)
সালগাওকর-১ (ইসফাক) |
নতুন বছরের প্রথম দিন অমীমাংসিতই রইল দুই কোচের লড়াই। আই লিগের প্রথম পর্বের মতোই।
যাতে মোহনবাগান লিগতালিকায় দু’নম্বরে উঠল। কিন্তু বাকিদের থেকে দু’-তিন ম্যাচ বেশি খেলায় কোনও লাভ হল না। ওডাফাদের এখন ২৫ ম্যাচে ৪৪। বাকি একটি ম্যাচ। ডেম্পো ২৩ ম্যাচে ৫০। পুণে ২৩ ম্যাচে ৪৩।
প্রথমার্ধে ছিল অ্যাডভান্টেজ সুব্রত। প্রচুর পাস। উইং সারাক্ষণ সচল। নতুন বছরের নতুন মোহনবাগান। সালগাওকর রক্ষণ তখন ভীষণ ব্যস্ত। বিরতির পর আবার ফাতোরদা স্টেডিয়ামের দখল চলে গেল করিমের হাতে। তখন মোহন-মাঝমাঠ ফের পুরনো ফর্মে।
প্রথমার্ধেই মরসুমের অনেক চেনা সেই ছবি। বক্সের ভিতর ওডাফা ওকোলির পায়ে বল। সামনে বিপক্ষের চার ডিফেন্ডার। সবাইকে কাটিয়ে গোলার মতো শট। ২৩ মিনিটের সেই গোলেই ১-০ বাগানের। ভাগ্য সঙ্গ দিলে বিরতিতে স্কোর দেখাত মোহনবাগানের পক্ষে ৩-০। ওডাফা ও সুনীলের দু’টি শট পোস্টে লেগেছিল।
প্রথমার্ধে মোহনবাগানের দাপট দেখানোর একটা কারণ পাসিং। এ দিন রাকেশ-সুনীল-ব্যারেটোরা মাঝমাঠে প্রচুর পাস খেললেন। করিমের ডিফেন্ডাররা নাস্তানাবুদ ওডাফা-ব্যারেটো-সুনীল ত্রয়ীর বোঝাপড়া সামলাতে। অন্য কারণ, সালগাওকরে চিডি-সুয়েকা-তোম্বা সিংহের না থাকা। বাঁ দিক দিয়ে রহিম নবি এবং ডান প্রান্ত ধরে সুরকুমার নির্ভয়ে উপরে উঠছিলেন। যাতে ধার আরও বাড়ছিল মোহনবাগানের আক্রমণের।
সালগাওকর ম্যাচে ফেরে বিরতির পর। ভারতীয় ফুটবলের প্রথম ফরাসি ফুটবলার ম্যাক্সিম বেলোয়েত বিখ্যাত পাসিংয়ের জন্য। প্রথমার্ধে এই মিডফিল্ডারের কয়েকটি থ্রু আটকে গিয়েছিল বাগানের রক্ষণে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ম্যাক্সিমের লম্বা পাস ধরে ইসফাক ১-১ করেন। সেই সঙ্গে ম্যাচের রাশ ধরে সালগাওকর। দ্বিতীয়ার্ধে লিমার দুরন্ত ফ্রি-কিক বাঁচান সালগাওকর গোলকিপার করণজিৎ সিংহ।
মোহনবাগান
শিল্টন, সুরকুমার, কিংশুক, শুভাশিস, নবি, জুয়েল (মণীশ), রাকেশ, সুনীল, হাদসন (স্নেহাশিস), ব্যারেটো (প্রদীপ), ওডাফা। |