|
এক ঝলকে... |
পৃথিবী
৮ এপ্রিল - ১৪ এপ্রিল |
|
ইয়াঙ্গন বেজিং ম্যানিলা জেনিভা ইস্তানবুল |
• ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তির পরে এই প্রথম মায়ানমারে গেলেন কোনও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ১৯৮৬ সালের পরে পশ্চিম দুনিয়ার কোনও রাষ্ট্রপ্রধানই সামরিক বাহিনীর শাসিত বর্মা তথা মায়ানমারে পা রাখেননি। প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন দেখা করলেন প্রেসিডেন্ট থাইন সেন-এর সঙ্গে, তার পর বিরোধী নেত্রী, সদ্য আইনসভায় নির্বাচিত সু চি’র সঙ্গে। সু চি এই গ্রীষ্মে ব্রিটেন সফর করতে পারেন। ক্যামেরন জানিয়েছেন, তিনি চেষ্টা করবেন যাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মায়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞাগুলি আপাতত তুলে নেয়।
|
• চিনের ধমক খেয়ে ফিলিপিনস দক্ষিণ চিন সমুদ্র থেকে নিজের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজটি সরিয়ে ফেলল। কেবল ধমকই নয়, ওই জাহাজ সরানোর জন্য কতগুলি চিনা যুদ্ধজাহাজ সশরীরে উপস্থিতও হয়েছিল। চিনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি যখন সংকটে, এমন সময়ে এই সংবাদ চিনা নেতৃত্বের কাছে জরুরি, বোঝাই যাচ্ছে।
• সিরিয়ায় শান্তিচুক্তি অনুযায়ী শান্তিপ্রক্রিয়া চালু করার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘মনিটর’-বাহিনী তৈরির প্রস্তাব পাশ হতে চলেছে এই সপ্তাহে। নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রস্তাব পাশ হলে মনিটর-রা রওনা হবেন।
• আরও এক বার বৈঠক, আরও এক বার ইরান, আরও একবার আমেরিকা-ব্রিটেন সহ প্রধান পশ্চিমী দেশসমূহ, আরও এক বার পরমাণু-শক্তি নিয়ে দর-কষাকষি। এ বার বৈঠক ইস্তানবুলে।
|
• চংকিং প্রদেশের প্রধান বো জিলাই’কে অপসারিত করেছে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি। ব্রিটিশ ব্যবসায়ী নিল হে’উডকে হত্যার দায়ে গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর স্ত্রী গু কাইলাই। পলিটব্যুরোর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বো-এর অনুগামীরা পার্টির এই ‘দমন নীতি’তে ক্ষুব্ধ, ইন্টারনেটে প্রতিবাদের ঝড়, বেজিংয়ে রাজপথে হাজার হাজার মানুষের বিরল বিক্ষোভ। তিয়ানানমেন, আবার? |
|
ওয়াশিংটন ডি সি |
ভোট-যুদ্ধের যুযুধান দুই প্রতিপক্ষ তা হলে এ বার প্রস্তুত হতে শুরু করতে পারেন। প্রেসিডেন্ট ওবামার বিরুদ্ধে ২০১২ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী হয়ে কে দাঁড়াবেন, এ নিয়ে কয়েক মাসের টানাপোড়েনের পর জয়ী হয়ে বেরিয়ে এলেন মিট রমনি। তবে শেষ কিছু কাল কট্টর দক্ষিণপন্থী প্রার্থী রিক স্যানটোরাম (ছবি) কিন্তু তাঁকে প্রভূত বেগ দিয়েছেন। এমনও কিছু সময় এসেছে যখন রমনির জয় প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ার জোগাড় হয়েছে স্যানটোরামের জন্য। পেনসিলভ্যানিয়ার এই রাজনীতিক অবশ্য ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। ভবিষ্যতেও যে তাঁর যুদ্ধ জারি থাকবে, এই ইঙ্গিত তিনি দিয়েছেন। তাঁর ইঙ্গিত থেকে স্পষ্ট, রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে টি-পার্টি ঘরানার অতি-দক্ষিণপন্থার গতিবেগ আরও বাড়তে চলেছে। |
ইসলামাবাদ |
১৯৯২ সালে আজমেঢ়ে একটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আশি বছর বয়স্ক পাক বিজ্ঞানী খলিল চিস্তিকে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট জামিন দিয়েছে। ভারত সফরে এসে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন, সরকার যেন প্রবীণ এবং অসুস্থ বিজ্ঞানীর মুক্তির ব্যবস্থা করেন। পরে তিনি এই অনুরোধ জানিয়ে মনমোহন সিংহকে চিঠিও লিখেছেন। অতঃপর জারদারি তাঁর দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিককে নির্দেশ দিয়েছেন, সরকারি খরচে চিস্তিকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনার জন্য যেন সমস্ত আয়োজন করা হয়।
|
মস্কো |
পূর্ব রাশিয়ায় ভলগা নদীর তীরে উলিয়ানভ্স্ক শহরে একটি সামরিক কেন্দ্র তৈরি করতে চায় নেটো। সেনা-ঘাঁটি নয়, আফগানিস্তানে নেটোর বিমান যাতায়াতের জন্য একটি বিমানবন্দর ও আনুষঙ্গিক পরিকাঠামো। রাশিয়ার সঙ্গে নেটোর সম্পর্ক ইদানীং বিশেষ মধুর নয়। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মন্তব্য করেছেন, নেটো হল ঠান্ডা লড়াইয়ের যুগের স্মারক। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি নেটোকে এই সামরিক কেন্দ্রটি তৈরি করার অনুমতি দিচ্ছেন, কারণ ‘আফগানিস্তানে ওরা শান্তি বজায় রাখতে পারলে আমাদেরই মঙ্গল, না হলে তো রুশ সৈন্যদের সে কাজে নামতে হবে।’ একে বলে বাস্তববুদ্ধি।
|
নিউ ইয়র্ক |
নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন সাউথ ক্যারোলাইনা প্রদেশের গভর্নর ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিকি হ্যালি। এক নামজাদা মার্কিন পত্রিকার সম্পাদক তাঁর একটি সাক্ষাৎকার নেন। অন্যতম প্রশ্ন ছিল: ‘নিউ ইয়র্কে তো অনেক শিখ ট্যাক্সিচালক আছেন, তাঁদের কারও গাড়িতে চড়লে আপনি কি বেশি টিপস দেবেন?’ সংবেদনশীলতা দূরস্থান, ঈষৎ কাণ্ডজ্ঞান থাকলেও এমন প্রশ্ন কেউ করে না। তবে কিনা, কাণ্ডজ্ঞানের অভাব তো আর কেবল কলকাতাতেই নয়।
|
শেষ পাত |
শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হিলারি ক্লিন্টন। বলেছেন, বাঙালিদের অনেক প্রভাব মার্কিন সংস্কৃতির ওপর পড়েছে। কাজেই, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার তরফ থেকে তিনি বাঙালিদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। এর আগে হোয়াইট হাইসে দীপাবলি অনুষ্ঠিত হয়েছে, প্রেসিডেন্ট স্বয়ং ভারতীয়দের দীপাবলির শুভেচ্ছে জানিয়েছেন। কিন্তু, সে তো সর্বভারতীয় ব্যাপার। কিন্তু, বাঙালিদের আলাদা করে শুভেচ্ছা জানানো কেন? ওবামার প্রশাসনে বাঙালিদের গুরুত্ব ক্রমেই বাড়ছে। হোয়াইট হাইসের বেশ কিছু জরুরি পদে এখন বাঙালি। মার্কিন জনসমাজেও বাঙালির উপস্থিতি স্পষ্ট। তাই নববর্ষের শুভেচ্ছা? |
|