হাতে লিখে যে ফর্ম জমা দিয়ে পাসপোর্ট পাওয়া যাচ্ছিল, সেই ফর্ম বাতিল করে দিচ্ছে বিদেশ মন্ত্রক। তার জায়গায় নতুন ফর্ম আসছে। নতুন এই ফর্ম কম্পিউটার থেকে ডাউনলোড করে হাতে লিখে জমা দিতে হবে। কলকাতার রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসার আর শিবকুমার জানিয়েছেন, ১ মে থেকে কলকাতায় আর পুরনো ফর্ম গ্রহণ করা হবে না। জুন মাস থেকে সারা দেশেই পুরনো ওই ফর্ম বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে।
এখন অন-লাইনে পাসপোর্ট ফর্ম ভরে সেখানেই জমা দেওয়া যাচ্ছে। তবে এই ব্যবস্থায় নাজেহাল হচ্ছেন আবেদনকারীরা। ওই প্রক্রিয়ায় প্রতি দিন ১০৫০টি করে নতুন আবেদনপত্র জমা নেওয়া হচ্ছে। তাতে চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না। এই সমস্যা মেটাতে সম্প্রতি ঠিক করা হয় যে ব্রেবোর্ন রোডের অফিসে হাতে লেখা পুরনো ফর্ম গ্রহন করা হবে। এখন প্রতি দিন গড়ে সে রকম ২০০টি আবেদনপত্র জমা নেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার শিবকুমার বলেন, “পুরনো ফর্মের মতো নগদ টাকাও নেওয়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তার জায়গায় ডিমান্ড ড্রাফ্ট নেওয়া হবে।”
অন-লাইনে ফর্ম ভরে তা জমা দেওয়া গেলেও বাইপাসে নতুন পাসপোর্ট অফিসে দেখা করার জন্য সময় চেয়েও অনেকে পাচ্ছেন না। এ রকম অনেকে ব্রেবোর্ন রোডে এসে শিবকুমারের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানাচ্ছেন। নিয়ম করে প্রতি দিন প্রায় ৫০ জনকে অ্যাপয়েন্টমেন্টের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন শিবকুমার। তিনি বলেন, “যে সময়ে অন-লাইন ব্যবস্থা চালু হয়েছে, প্রায় একই সময়ে হজ যাত্রীদের জন্য পাসপোর্ট তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার হজযাত্রীকে পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে। কর্মী-অফিসারদের উপরে খুব চাপ গিয়েছে। তাই, সাধারণ আবেদনকারীদের পাসপোর্ট দিতে অসুবিধা হচ্ছিল। এখন আর হবে না।”
চাপ কমাতে দিল্লি থেকে অতিরিক্ত অফিসার চেয়ে পাঠানো হয়েছিল বলেও তিনি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবারই রায়পুর থেকে এক অফিসারকে কলকাতায় বদলি করা হয়েছে। এর মাধ্যে ১ মে বহরমপুরে নতুন পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র চালু হচ্ছে। সেখানে কমপক্ষে দু ’জন অফিসারকে পাঠাতেই হবে। সে ক্ষেত্রে কলকাতা থেকে এক অফিসার কমে যাবে। তবে শিবকুমার জানিয়েছেন, মালদহ, মুর্শিদাবাদ-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার প্রায় ৩০০ আবেদন এ বার থেকে বহরমপুরের অফিসে জমা পড়বে। তখন কলকাতার উপরেও চাপ কিছুটা কমে যাবে। |