মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর কেন্দ্রীয় বিক্রয়কর খাতে ক্ষতিপূরণ কমানো নিয়ে এ বার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। তাঁরও অভিযোগ, ওই করের হার কমানোর দৌলতে রাজ্যগুলির যে ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য, তা দিচ্ছে না কেন্দ্র। এই পদক্ষেপ অযৌক্তিক এবং তাই প্রতিবাদ করার মতো।
পণ্য-পরিষেবা করের (জিএসটি) পথ প্রশস্ত করতে কেন্দ্রীয় বিক্রয়কর ধাপে ধাপে তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই প্রথম দফায় ওই করের হার ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়। কথা ছিল, এই কেন্দ্রীয় বিক্রয়কর কমা বাবদ যে-রাজস্ব রাজ্যগুলি হারাবে, সরাসরি ক্ষতিপূরণ দিয়ে তা পুষিয়ে দেবে কেন্দ্র। আশা ছিল, বছর দু’য়েকের মধ্যে তার প্রয়োজনও আর থাকবে না। কারণ, তত দিনে চালু হয়ে যাবে পণ্য-পরিষেবা কর। যা থেকে আয়ের রাস্তা খুঁজে পাবে রাজ্যগুলি।
কিন্তু রাজনৈতিক মতানৈক্যের কারণে এখনও চালু হয়নি পণ্য-পরিষেবা কর। অথচ কেন্দ্রীয় বিক্রয়কর বাবদ ক্ষতিপূরণের অঙ্কও কমিয়ে আনছে রাজ্য। ২০১১- ’১২ সালের জন্য এই ক্ষতিপূরণ ঠিক মতো না-দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রের একতরফা সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে চিঠি দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন এর ফলে রাজ্যগুলির রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জয়ললিতাও। তাঁর প্রশ্ন, “সময়ে পণ্য-পরিষেবা কর চালুর দায়িত্ব একান্ত ভাবেই কেন্দ্রের। তাই সে ক্ষেত্রে দেরির দায় কেন বইবে রাজ্যগুলি?” যুক্তমূল্য করের হার ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার মাধ্যমে রাজ্যগুলি এই ক্ষতির বোঝা কমাতে পারে বলে যে যুক্তি কেন্দ্র দিচ্ছে, তা-ও খারিজ করে তাঁর দাবি, এই দু’য়ে যোগ নেই। |