শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চার বার কেঁপে উঠল পশ্চিম ভারত। এর মধ্যে দু’টি ভূমিকম্প। একটি বড় মাপের। অন্যটি মাঝারি। রিখটার স্কেলে ৪.৯ তীব্রতার বড় ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল মহারাষ্ট্রের সাতারা। মাঝারি (রিখটার স্কেলে তীব্রতা ৪.০) ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল কচ্ছের ভামকা তালুক। গুজরাত এবং মহারাষ্ট্রে অনুভূত অন্য দুটি কম্পন অবশ্য আফটার শক। তবে দু’টি ভূমিকম্প ও তাদের আফটার শকে কোনও ক্ষতি হয়নি বলে দুই রাজ্যের প্রশাসন সূত্রের খবর।
এ দিন প্রথম কম্পন অনুভূত হয় সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে। গুজরাতে। ৪.০ তীব্রতার ভূমিকম্পে কচ্ছ ও পাশ্ববর্তী এলাকায় ছড়ায় আতঙ্ক। ভূবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল মাটির ৭ কিলোমিটার নীচে। একই কেন্দ্রস্থল থেকে ফের কম্পন হয় ঘণ্টা খানেক পর। তবে ৩.১ মাত্রার আফটার শক অনেকেই অনুভব করতে পারেননি। গুজরাতে ভূমিকম্পের কিছুক্ষণের মধ্যেই ১০টা ৫৭ মিনিটে কেঁপে ওঠে ভারতের বাণিজ্য রাজধানী মুম্বই। |
ভূবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এর কেন্দ্র ছিল মহারাষ্ট্রের সাতারা। চিপলান খাতে ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটি হয়। রিখটার স্কেলে তার তীব্রতা ছিল ৪.৯।
পুণের আবহাওয়া বিজ্ঞান দফতর জানাচ্ছে, মহারাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চল জুড়ে কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে। শনিবারের সকালে অনেকেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। ঘণ্টা খানেক পরে ফের কম্পন অনুভূত হয়। সেটির তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৪। ভূকম্পন কেন্দ্র থেকে ১০ কিমি দূরে সাতারা জেলার কোয়ানা বাঁধ। ১৯৫৭ সালে কোয়ানায় অতি তীব্র মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। তবে এ দিনের ভূমিকম্পে কোয়ানা বাঁধের কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই মহারাষ্ট্র প্রশাসন জানিয়েছে। মহারাষ্ট্রের থানে এবং তারাপুরের দুটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রেরও কোনও ক্ষতি হয়নি বলে কেন্দ্রীয় সরকারের পরমাণু বিদ্যুৎ কমিশন সূত্রের খবর।
এ দিনের ভূমিকম্পে বাণিজ্য রাজধানী মুম্বইয়ে ক্ষয়ক্ষতির খবর না থাকলেও সুমাত্রায় হওয়া বুধবারের অতি তীব্র ভূমিকম্পে ভেঙে পড়ে মুম্বইয়ের লালবাগ অঞ্চলের উড়ালপুলের একাংশ। এমনটাই দাবি মুম্বই নগরোন্নয়ন দফতরের পরিচালন বিভাগের প্রধান পি আর কে মূর্তির। |