নববর্ষের রাতে আগুন বন্ধ অফিসে |
পয়লা বৈশাখের রাতে শহরের বাণিজ্যকেন্দ্রের একটি বহুতলে আগুন লাগার ঘটনা ঘিরে ছড়াল আতঙ্ক। ঘন ধোঁয়া ভেদ করে আগুনের উৎস খুঁজে বার করতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় দমকল বাহিনীকে। দমকলকে সাহায্য করতে আসে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। ঘটনাস্থলে গিয়ে দমকলমন্ত্রী জাভেদ খানকে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। গভীর রাত পর্যন্ত লড়াই চালায় দমকলের ২০টি ইঞ্জিন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এই ঘটনায় অবশ্য হতাহতের কোনও খবর নেই।
পুলিশ ও দমকল সূত্রে খবর, বৌবাজার থানা এলাকার ১০ নম্বর প্রিন্সেপ স্ট্রিটের ওই বহুতল থেকে রাত ৯টা নাগাদ প্রথম ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। ছ’তলা ওই বাড়িটির চার ও পাঁচতলা বসবাসের জন্য ব্যবহৃত হয়, অন্য চারটি তলা জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন ছোট-বড় অফিস। |
প্রিন্সেপ স্ট্রিটের বহুতলে আগুন নেভাতে ব্যস্ত বিপর্যয় মোকাবিলা
বাহিনীর দুই কর্মী। শনিবার রাতে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক। |
গোড়ার দিকে তিনতলার একটি বন্ধ অফিসের এসি মেশিন থেকেই অল্প ধোঁয়া বেরোতে দেখেছিলেন স্থানীয়রা। ক্রমশ অফিসটির অন্যান্য অংশ থেকেও ধোঁয়া বেরোতে থাকে। সেই ধোঁয়া গ্রাস করতে থাকে গোটা এলাকাকেই। ঘিঞ্জি ওই এলাকায় আগুন লাগার কথা রটে যায় মুহূর্তের মধ্যেই। বহুতলটির চার-পাঁচতলায় যাঁরা থাকেন, আতঙ্কে তড়িঘড়ি রাস্তায় নেমে আসেন তাঁরা।
প্রথম দফায় দমকলের ৪টি ইঞ্জিন পাঠানো আসে। পরে আসে আরও ৩টি। তা সত্ত্বেও কোন জানলা ভেঙে উপরে উঠলে আগুনের উৎস খুঁজে পাওয়া যাবে, তা ঠিক করে উঠতে পারেননি দমকলকর্মীরা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেন দমকলমন্ত্রী। ইঞ্জিন আসার পরেও কেন কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে দমকলমন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। একে একে চলে আসে দমকলের আরও ১৩টি ইঞ্জিন। |