জাতীয় প্রতীকে ভুল, আটক গাড়ি
নিজস্ব সংবাদদাতা |
জাতীয় প্রতীক সম্পূর্ণ না থাকার অভিযোগে শনিবার একটি গাড়ি আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ওই গাড়িটি পূর্ত দফতরে ভাড়া খাটে। ওই গাড়িটির সামনের বোর্ডে অশোক স্তম্ভ লাগানো থাকলেও তার নীচে ‘সত্যমেব জয়তে’ কথাটি লেখা নেই। যা আইনবিরুদ্ধ। ‘জাতীয় প্রতীক আইন, ২০০৫’-এ গাড়িটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে খবর। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, গাড়িটি এ দিন ঠাকুরপুকুর এলাকায় দাঁড়িয়েছিল। কমল দে নামে এক ব্যক্তি প্রথম বিষয়টি লক্ষ করেন। এর পরেই তিনি বিষয়টি কর্তব্যরত এক পুলিশকর্মীকে জানান। কমলবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতেই গাড়িটিকে আটক করা হয়।গত ৩০ মার্চ গড়িয়াহাট এলাকা থেকেও একই কারণে আয়কর দফতরের এক কমিশনারের গাড়ি আটক করা হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ঘটনাচক্রে সে দিনও কমলবাবুই পুলিশকে ওই গাড়িটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। |
মেট্রোয় ঝাঁপ, রক্ষা চালকের তৎপরতায় |
ফের মেট্রো রেল কর্মীর তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল এক ব্যক্তির। গত বুধবারই কবি সুভাষ স্টেশনে মেট্রো কর্মী এবং পুলিশের তৎপরতায় এক তরুণীর প্রাণ বাঁচে। আর এ দিন মেট্রো রেলের এক চালকের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে গেলেন ষাট বছরের এক ব্যক্তি। বেলগাছিয়া মেট্রো স্টেশনে ট্রেন ঢোকার মুখে ওই ব্যক্তি ঝাঁপ দিয়েছিলেন। কবি সুভাষগামী ট্রেনের চালক তখনই ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে তাঁর প্রাণ বাঁচান। ঘটনার জেরে ঘণ্টাখানেক মেট্রো চলাচল ব্যাহত হয়। পুলিশ ও মেট্রো সূত্রের খবর, এ দিন কবি সুভাষগামী ট্রেনটি বেলা ১০টা ৫৩ মিনিটে বেলগাছিয়া স্টেশনে ঢুকছিল। চালক অভিনব সেন স্টেশনে ঢোকার মুখে দেখতে পান, প্ল্যাটফর্ম থেকে এক ব্যক্তি লাইনে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কষেন তিনি। তত ক্ষণে ওই ব্যক্তি ইঞ্জিনের তলায় ঢুকে গিয়েছেন। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাঁকে বের করা হয়। |
সাঁতার কাটতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু কিশোরের |
সাঁতার কাটতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল এক কিশোরের। শনিবার বেলা বারোটা নাগাদ দমদম পার্কে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম ঐন্দ্রিক মল্লিক (১৭)। বাড়ি উত্তর কলকাতার হরি ঘোষ স্ট্রিটে। রিপন স্ট্রিটের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল থেকে সে এ বছর দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছিল। পুলিশ সূত্রের খবর, দুই বন্ধু এবং এক বান্ধবীর সঙ্গে ঐন্দ্রিক এ দিন দমদম পার্কে এক শিক্ষিকার কাছে অর্থনীতি পড়তে গিয়েছিল। ১০টা নাগাদ পড়া শেষ করে দমদম পার্ক ২ নম্বর পুকুরে ঐন্দ্রিক এবং তার দুই বন্ধু সাঁতার কাটতে নামে। এক বন্ধু সাঁতার না জানায় পাড়ে ওঠে আসে। অন্য দু’জন পুকুরের মাঝে চলে যায়। পুকুরটির মাঝখানে গিয়ে দু’জনেই হাবুডুবু খেতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দা সুমিতা বসু জানান, “একটি মেয়ের চিৎকার শুনে আমরা ছুটে গিয়ে দেখি, দু’টো ছেলে পুকুরের মাঝে হাবুডুবু খাচ্ছে। এক জনকে তোলা গেলেও ওই ছেলেটি তলিয়ে যায়।” পরে স্থানীয় বাসিন্দারাই ঐন্দ্রিকের দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। |
গাছতলা থেকে উদ্ধার সদ্যোজাত |
গল্ফ গ্রিন এলাকায় শনিবার একটি সদ্যোজাত উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, এ দিন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ একটি ভ্যাটের পাশের গাছতলায় শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ্য তরুণ রায় বলেন, “শিশুটি একটি পুত্রসন্তান। তার বয়স মাত্র এক দিন বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।” শিশুটিকে বাঙুর হাসপাতালের ‘সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট’ এ ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান। হাসপাতাল সূত্রের খবর, শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল। |