রাশ আরও জোরালো ভাবে দুই প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিনের হাতে রাখতে শেয়ারের শ্রেণি বিভাজন (স্টক স্প্লিট)-এর সিদ্ধান্ত নিল গুগল। সার্চ ইঞ্জিন সংস্থাটি জানিয়েছে, সে ক্ষেত্রে প্রতিটি সাধারণ শেয়ার পিছু একটি করে বিশেষ শেয়ার দেওয়া হবে। তবে এই বিশেষ শেয়ারটি থেকে আর পাঁচটা শেয়ারের মতো অর্থ আয়ের সুযোগ থাকলেও, সেটির ভিত্তিতে সংস্থার সিদ্ধান্তে ভোট দেওয়ার অধিকার জন্মাবে না। সংস্থার দাবি, এই সিদ্ধান্তের ফলে গুগলে ভোট দেওয়ার প্রায় ৬০% অধিকারই চলে আসবে পেজ ও ব্রিনের হাতে। ঠেকানো যাবে অবাঞ্ছিত অধিগ্রহণও। পেজ নিজেও এ দিন বলেন, “আমরা এমন ভাবে কর্পোরেট কাঠামো তৈরি করছি, যাতে দীর্ঘ মেয়াদে সংস্থার ভিত মজবুত হয়। এবং লগ্নিকারীরা গুগল তথা আমার আর সের্গেই-এর উপর ভরসা করতে পারেন।” বাইরের কোনও সংস্থা যাতে গুগল কিনে নিতে না-পারে এবং ভবিষ্যতে যাতে সংস্থার পরিচালন গোষ্ঠীর পক্ষে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়, তার জন্যও এই শেয়ার বিভাজন জরুরি ছিল বলে জানান তিনি।
তবে গুগলের এই সিদ্ধান্তের জেরে মার্কিন শেয়ার বাজারে ইতিমধ্যেই কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যাঁদের হাতে সংস্থার শেয়ার থাকবে, অথচ ভোট দেওয়ার অধিকার না, তাঁরা আগামী দিনে সংস্থা পরিচালনায় তাঁরা কী ভূমিকা নেবেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। এর আগেই ফেসবুক, জিংগা অথবা গ্রুপন-এর মতো ইন্টারনেট সংস্থার কর্ণধারেরা নিজেদের হাতে পরিচালনার রাশ ধরে রাখতে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্যান্য সংস্থাও যদি একই পথে হাঁটে, সে ক্ষেত্রে বিশ্ব জুড়ে সংস্থা পরিচালনায় রদবদল আসবে বলেও দাবি তাঁদের। |