নার্সিংহোমের একটি চিকিৎসকের গাফিলতির জেরে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাচক্রে ওই চিকিৎসক রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালেও কর্মরত। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম সাধনা রায় (৫৫)। তাঁর বাড়ি ইটাহারের কমলাই এলাকায়। শুক্রবার বিকালে নার্সিংহোমে মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের লোকজন উকিলপাড়ায় ওই চিকিৎসকের বাড়ির সামনে মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। ওই পরিবারের তরফে পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। পরে পুলিশ ও ভারপ্রাপ্ত সুপারের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম সুবোধ বিশ্বাস। মৃতার বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন, গত ৪ এপ্রিল সাধনাদেবী বাড়িতে কাজ করার সময়ে পড়ে যাওয়ায় তাঁর বাঁ পায়ের কুঁচকি লাগোয়া একটি অংশ ভেঙে যায়। সুবোধবাবুকে উকিলপাড়ার চেম্বারে দেখানোর পর দেখানোর পর দেবীনগরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। ৬ এপ্রিল সুবোধবাবু সাধনাদেবীর অস্ত্রোপচার করেন। মৃতার স্বামী সুরেনবাবুর জানান, অস্ত্রোপচারের পর সুবোধবাবু জানান অস্ত্রোপচার সফল হয়নি। গত বুধবার সুবোধবাবু ফের স্ত্রীর অস্ত্রোপচার করেন। তার পরেই স্ত্রী প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। স্ত্রীর পেট ফুলে যন্ত্রণা শুরু হয়। ওই চিকিৎসককে দেখার কথা বললে উনি অন্য কোনও চিকিৎসক দেখাতে বলেন। বৃহস্পতিবার বিকালে মালদহে একটি নার্সিংহোমে স্ত্রীকে ভর্তি করাই। সেখানে কিছুক্ষণ পরে স্ত্রী মারা যান। তাঁর অভিযোগ, “সুবোধবাবুর চিকিৎসায় গাফিলতির জেরেই ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ জানিয়েছি।” আইসি সুবীর পাল বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সুবোধবাবুর পাশাপাশি তাঁর সহযোগী আরেক চিকিৎসকের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক সুবোধবাবু। তিনি বলেন, ‘‘গাফিলতির অভিযোগ সঠিক নয়। ওই রোগীর কিডনির সমস্যা থেকে সঙ্কটজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেই কারণেই ওঁকে বড়মাপের হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিয়েছি। তদন্ত হলেই সব স্পষ্ট হবে।” |