আগুন লেগেছিল ঢাকুরিয়ায় আমরি হাসপাতালের ‘অ্যানেক্স’ বা সংলগ্ন ভবনে। সেটি এখনও অগ্নিদগ্ধ অবস্থাতেই আছে। তবে আমরির মূল ভবনের সংস্কার শুরু হয়ে গিয়েছে। মূল বাড়ি সংস্কারের অনুমতি মিললেও পুড়ে যাওয়া অ্যানেক্স ভবনকে নতুন করে গড়ে তোলার অনুমতি এখনও দেয়নি পুলিশ ও দমকল।
গত ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে আমরি হাসপাতালের অ্যানেক্স ভবনে আগুন লাগায় ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকার ওই হাসপাতালের মূল ভবনটিও বন্ধ করে দিয়েছিল। সেখানকার রোগীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল অন্যত্র। আগুন লাগার চার মাস পরে সেই মূল ভবনের সংস্কার শুরু হল। আমরি সূত্রের খবর, দমকলের সুপারিশ মেনেই মূল হাসপাতাল ভবনটি সংস্কার করা হচ্ছে। তবে পুড়ে যাওয়া ভবনটিতে এখনও কারও হাত পড়েনি।
বন্ধ হয়ে যাওয়া ঢাকুরিয়া আমরির সংস্কারের কাজ শুরু হল এমন একটা সময়ে, যখন হাসপাতালের ধৃত ন’জন ডিরেক্টরের সকলেই জামিনে মুক্তি পেয়ে গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ডিরেক্টর শ্রবণ তোদির জামিন হয়েছে বৃহস্পতিবার। অর্থাৎ হাসপাতালের ম্যানেজিং কমিটির চার সদস্যই এখন জামিনে মুক্ত। তবে আমরির তিন ডিরেক্টর আদিত্যবর্ধন অগ্রবাল, প্রীতি সুরেখা ও রাহুল তোদিকে এখনও গ্রেফতারই করতে পারেনি পুলিশ। জেলে আছেন অগ্নিকাণ্ডের রাতে অ্যানেক্স ভবনে নাইট ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা সাজিদ হুসেন।
শুক্রবার ঢাকুরিয়ার মূল ভবনে গিয়ে দেখা গেল, সংস্কারের কাজ চলছে জোর কদমে। আগে হাসপাতালে জল ছেটানোর জন্য কোনও ‘স্প্রিঙ্কলার’ ছিল না। সংস্কারের সঙ্গে সঙ্গে সেই ‘স্প্রিঙ্কলার’ বসানোর কাজও শুরু হয়েছে। ফলস সিলিং ভাঙা হচ্ছে এখানে-সেখানে। দমকলের গাড়ি যাতে সহজে ঢুকতে পারে, সেই জন্য মূল ভবন ও অ্যানেক্স ভবনের মাঝখানের শেড ভাঙা হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, প্রথমে হাসপাতালের বহির্বিভাগ চালু করার চেষ্টা চলছে। সংস্কারের পুরো কাজটাই হচ্ছে দমকলের নিয়মবিধি মেনে। আগামী চার মাসের মধ্যেই কাজ চালানোর মতো করে বহির্বিভাগ ফের তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা করছেন আমরির কর্মীরা। |