|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
নিরুদ্দেশ বাঙালি গোয়েন্দা |
বইপোকা |
বাঙালির যে উজ্জ্বল দিনগুলি চলিয়া গিয়াছে তাহার মধ্যে বোধকরি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নিরুদ্দেশের নাম বাঙালি গোয়েন্দা। ব্যোমকেশ, পরাশর, ফেলুদা, কিরীটি, নিদেনপক্ষে জয়ন্তও উধাও হইয়াছেন বহু কাল। তাহা স্বাভাবিক, হয় তাহাদের স্রষ্টার মৃত্যু ঘটিয়াছে, নয় তাঁহারা থামিতে জানেন বলিয়া কলম থামাইয়া দিয়াছেন। কিন্তু তাহার পরে অন্তত দুই দশক পার হইতে চলিল, বঙ্গসাহিত্যে কোনও নূতন পাতে দিবার মতো গোয়েন্দার আবির্ভাব হইল না। বঙ্গীয় আসল দারোগার দফতরও ইদানিং তেমন জমিতেছে না, ‘মগজে কারফিউ’। এমতাবস্থায় এমন একটি পরিকল্পনার কথা ভাবা যাইতে পারে যাহাতে গোয়েন্দাচরিত্রগুলি এক থাকিবেন, কাহিনিগুলির লিখনশৈলীও তাহাদের স্রষ্টার অনুরূপ হইবে, কেবল বদলাইয়া যাইবে লেখক। এমন দৃষ্টান্ত সম্প্রতি একটি হস্তগত হইয়াছে, ইংরাজি ভাষায়। অ্যান্টনি হরউইৎজ লিখিয়াছেন দ্য হাউস অব সিল্ক (ওরিয়ন বুকস), দ্য নিউ শার্লক হোমস নভেল। ১৮৯০-এর লন্ডনে হোমস এবং ওয়াটসনকে নূতন এক কাহিনির পটে প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন অ্যান্টনি। তিনি নিজে সুবিখ্যাত ক্রাইম-ফিকশন লেখক, কাহিনিটি জমাইয়াছেন ভাল। গোয়েন্দা কাহিনিতে না হইলেও পুরাতন চরিত্রকে লইয়া নূতন উপন্যাস লিখিবার দৃষ্টান্ত বঙ্গসাহিত্যে আছে। সুতরাং কলম ঠুকিয়া প্রবীণ কিংবা নবীন লেখক লাগিয়া পড়ুন। ধ্রুপদী চরিত্রগুলির পুনর্জীবন দিবার মতো কব্জির জোর যদি না-ও থাকে, অন্তত গোয়েন্দাকাহিনির অক্ষম কমিক্সায়ন হইতে ত কিঞ্চিৎ মুক্তি মিলিবে! |
|
|
|
|
|