শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালেও দিনভর মৃদু স্বরে বাজবে রবীন্দ্র সঙ্গীত। আগামী ১লা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষের দিন ওই গান বাজানোর সূচনা হবে। ইতিমধ্যেই মহড়ার কাজও হয়ে গিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, রোগী সহায়তা কেন্দ্র থেকে ওই ‘সাউন্ড সিস্টেম’ নিয়ন্ত্রণ করা হবে। রোগীর পরিবারের লোকজনকে কিছু জানানোর প্রয়োজন হলে ওই ‘সাইন্ড সিস্টেম’ ব্যবহার করা হবে। রোগীর বাড়ির লোকজন কোনও তথ্য জানতে চাইলে তাও ওই ব্যবস্থার মাধ্যমে জানতে পারবেন। গান বাজানোর পরিকাঠামো তৈরি করতে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। ওই টাকা বরাদ্দ হয়েছে শিলিগুড়ির বিধায়কের তহবিল থেকে। শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য রাজ্য বিধানসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান। রুদ্রনাথবাবু বলেন, “সকাল-সন্ধ্যা হাসপাতালে নানা ওয়ার্ড, বহির্বিভাগে, আধিকারিকদের অফিসে মৃদু স্বরে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে গান বাজবে। রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজানো হবে। নজরুল গীতি সহ আরও কিছু গানও বাছাই করা হচ্ছে। তাতে কিছুটা মানসিক শান্তি পাবেন রোগীরা। হাসপাতালে একটা ভাল পরিবেশ গড়ে উঠবে। প্রয়োজনে কোনও তথ্য মাইকিং করে হাসপাতালের ওয়ার্ডে, বহির্বিভাগ তথা হাসপাতাল চত্বরে থাকা রোগী এবং তাঁদের লোকজনদের জানানো হবে। কর্মীদেরও প্রয়োজনীয় নির্দেশ পৌঁছে দিতে পারবেন কর্তৃপক্ষ।”
কয়েক মাস আগেই ওই ব্যবস্থা চালু করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। মাস খানেক ধরে সে ব্যাপারও কাজও শুরু হয়। বহির্বিভাগ, বিভিন্ন ওয়ার্ডে সেই ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রেই জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের রোগী সহায়তা কেন্দ্র থেকে এই ‘সাউন্ড সিস্টেম’-টি পরিচালনা করা হবে। বিভিন্ন ঘোষণা সেখান থেকেই করা হবে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওই ব্যবস্থা থাকলেও সিসিই (করনারি কেয়ার ইউনিট), এসএনসিইউ (সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট)-এ এই ব্যবস্থা থাকছে না। প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রচুর বাসিন্দারা চিকিৎসা করাতে আগেন। তাদের অনেকে বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রকল্প সম্বন্ধে জানেন না। বিশেষ করে জননী সুরক্ষা, শিশুদের বিভিন্ন প্রতিষেধক দেওয়ার সুযোগ সুবিধা বিষয়ে ওই ব্যবস্থায় তাঁদের সচেতন করা হবে বলে জানান শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার রণজিৎ ভকত। তিনি বলেন, “রোগীর লোকদের প্রয়োজন পড়লে বর্তমানে স্বাস্থ্যকর্মীদের চিৎকার করে ডাকতে হয়। সেই ব্যক্তি একটি দূরে কোথাও থাকলে ডাকতে সমস্যা হয়। রোগীর আত্মীয়দের খোঁজ করতেও এই ব্যবস্থা বিশেষ কার্যকর হবে।” |