|
|
|
|
ভুল তথ্যে নকশা, তদন্তে পুরসভা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
বহুতল তৈরির ক্ষেত্রে নির্মীয়মাণ ভবনের সামনে নিয়ম মাফিক রাস্তার জায়গা নেই। তা সত্ত্বেও ভুল তথ্য দিয়ে ডন বস্কো স্কুল লাগোয়া এলাকায় বহুতল তৈরির একটি নকশা পাশ করাতে কারা সাহায্য করেছে সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করলেন শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভা সূত্রেই খবর, বাম জমানায় ওই বহুতল তৈরির নকশা অনুমোদন করাতে জমা দেওয়া হয়েছিল। সে সময়ই একই কারণে তা নাকচ হয়ে গিয়েছিল। বছর তিনেক পর সম্প্রতি ‘নিয়ম মাফিক রাস্তা’ রয়েছে বলে ভুল তথ্য দিয়ে তা অনুমোদন করিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। একটি প্রমোটার সংস্থার প্রস্তাবিত ওই ভবনের ‘সাইট প্ল্যান’ এবং নকশা ঠিক রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে পুরসভার সাবঅ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (এসএই) গিয়েছিলেন। তাঁর রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই মেয়র পারিষদের বৈঠকে ওই ভবনের নকশা অনুমোদন করা হয়। সে কারণে সংশ্লিষ্ট এসএই-কে ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুরসভার তালিকাভুক্ত যে লাইসেন্স বিল্ডিং সার্ভেয়ার (এলবিএস) ওই বাড়ির প্ল্যান করেছেন তাকে কালো তালিকাভুক্ত করার দাবি তুলেছেন বিরোধী বামেরা। পুরসভার এসএই’র বিরুদ্ধেও কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁরা। বিষয়টি জানার পরই ওই কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পুরসভার বিল্ডিং সেলের দায়িত্বে থাকা মেয়র পারিষদ সীমা সাহা বলেন, “বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে বহু তলের নকশা এবং সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই তা অনুমোদন করা হয়। তাই তদন্ত করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাঁরাই অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত, জেনেবুঝে পুর কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্ত করে বিপাদে ফেলতে চাইছেন তাদের কাউকেই ছাড়া হবে না। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, গত ২০ জানুয়ারি মেয়র পারিষদের বৈঠকে শিলিগুড়ির ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে ডন বক্সো স্কুলের কাছে পাঁচতলা ওই ভবন তৈরির নকশা অনুমোদন করা হয়। সম্প্রতি নির্মাণকারী সংস্থার তরফে কাজও শুরু করা হয়। নিয়ম মাফিক ওই বহুতল তৈরির ক্ষেত্রে বাড়ির সামনে ৭ মিটারের বেশি চওড়া রাস্তা থাকা দরকার। বাস্তবে সেই পরিমাণ রাস্তা না থাকলেও নকশায় প্রয়োজনীয় রাস্তা রয়েছে বলে দেখান হয়েছে। নির্মাণ কাজের জায়গা লাগোয়া পুরসভার একটি জমির অংশে রাস্তাটি দেখান হয়েছে। যা বাস্তবে রাস্তা হিসাবে নথিভুক্ত নয়। পুরসভার এসএই পরিদর্শনে গিয়েও তা ঠিক রয়েছে বলে রিপোর্ট দিয়েছেন। পরে বিষয়টি পুরসভার এক পদস্থকর্তার নজরে আসে। সম্প্রতি ওই এলাকায় পুরসভার একটি জমিতে দখলদারদের উচ্ছেদ করতে গেলে বিষয়টি টের পান তিনি। এর পরেই নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে পুরসভার তরফে নোটিস দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট প্রমোটার সংস্থাকে। গত বুধবার সংস্থার কর্মকর্তাদের পুরসভায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁদের পেশ করা নকশা সঠিক রয়েছে বলে তাঁরা দাবি করলে বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ জানাতে বলা হয়েছে। |
|
|
|
|
|