নির্দেশ হাইকোর্টের
খাতা দেখাতে হবে,
প্রতিলিপিও দিতে বাধ্য পর্ষদ
রীক্ষার্থী চাইলে তাঁর উত্তরপত্রের পুনর্মূল্যায়ন তো করতেই হবে। সেই পুনর্মূল্যায়নের সময় পরীক্ষার্থীকেও পাশে থাকার সুযোগ দিতে হবে বলে কয়েক দিন আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গিরীশচন্দ্র গুপ্ত। বৃহস্পতিবার অন্য একটি মামলায় তিনিই নির্দেশ দিয়েছেন, তথ্য জানার অধিকার আইনে কোনও পরীক্ষার্থী চাইলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদও উত্তরপত্র দেখাতে বাধ্য থাকবে। এমনকী উত্তরপত্রের প্রতিলিপিও দিতে হবে আবেদনকারী পরীক্ষার্থীকে। স্নেহাক্ষী সাহা নামে এক আবেদনকারিণীকে চার সপ্তাহের মধ্যে উত্তরপত্রের প্রতিলিপি দিতে বলেছেন বিচারপতি।
তথ্য জানার অধিকার আইন বলবৎ হয়েছে অনেক দিন। আদালতও বিভিন্ন সময়ে নির্দেশ দিয়েছে, ফলাফল নিয়ে পরীক্ষার্থী সংশয় প্রকাশ করলে উত্তরপত্রের পুনর্মূল্যায়ন তো করতেই হবে। সেই সঙ্গে তথ্য জানার অধিকার আইন অনুসারে পরীক্ষার্থীকে খাতাও দেখাতে হবে। কিন্তু মধ্যশিক্ষা পর্ষদ উত্তরপত্র দেখাতে এবং প্রতিলিপি দিতে অস্বীকার করেছে বলে হাইকোর্টে অভিযোগ করেন স্নেহাক্ষী। ওই ছাত্রী আবেদনে বলেন, ২০১১ সালে তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষা দেন। কিন্তু ইংরেজি ও জীবনবিজ্ঞানে তিনি যে-নম্বর পেয়েছেন, তা অস্বাভাবিক বলে মনে হয়েছে তাঁর। শুনানির সময় আবেদনকারিণীর আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাঁর মক্কেল তথ্য জানার অধিকার আইনে পর্ষদের কাছে দু’টি বিষয়ের উত্তরপত্র দেখানোর এবং তার প্রতিলিপি দেওয়ার আবেদন জানান। কিন্তু পর্ষদ তা দিচ্ছে না।
কোনও পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরে অসন্তুষ্ট হয়ে কেউ আবেদন করলে আগে এজলাসেই উত্তরপত্র পেশ করার নির্দেশ দিত হাইকোর্ট। কিন্তু তথ্য জানার অধিকার আইনে যে-কোনও পরীক্ষার উত্তরপত্র দেখা যাবে বলে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের সেই রায়ের পরে হাইকোর্টও সম্প্রতি জানিয়ে দেয়, কোনও পরীক্ষার্থী প্রাপ্ত নম্বরে অসন্তুষ্ট হলে তাঁকে তথ্য জানার অধিকার আইনেই উত্তরপত্র দেখাতে হবে।
আদালতের ওই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সৈকতবাবু বলেন, পরীক্ষার্থী উত্তরপত্র দেখলেই সমস্যা মিটবে না। খাতা দেখে পরীক্ষার্থীর মনে হতেই পারে যে, তিনি যত নম্বর পেতে পারতেন, তা তাঁকে দেওয়া হয়নি। এ ক্ষেত্রে তাঁর অভিভাবক ও শিক্ষকদের খাতা দেখালে তবেই জানা যাবে, আবেদনকারীর দাবি কত দূর সত্য। তা ছাড়া তথ্য জানার আইনে উত্তরপত্রের প্রতিলিপি পাওয়ার কথা পরীক্ষার্থীর। পরীক্ষা নিয়ামক কোনও সংস্থাই বলতে পারে না যে, খাতার প্রতিলিপি দেওয়া হবে না।
হাইকোর্ট এ দিন জানিয়ে দেয়, উত্তরপত্রের প্রতিলিপি দেওয়ার জন্য যে-খরচ হবে, পর্ষদ আবেদনকারী পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে সেই টাকা নিতে পারবে। কিন্তু কেউ উত্তরপত্রের প্রতিলিপি চেয়ে আবেদন করলে দেরি করা চলবে না। অবিলম্বে তা দিতেই হবে। পর্ষদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, আবেদনকারীকে অবশ্যই উত্তরপত্রের প্রতিলিপি দেওয়া হবে।
কয়েক দিন আগে উচ্চ মাধ্যমিকের এক ছাত্রী উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের আর্জি নিয়ে বিচারপতি গুপ্তেরই আদালতে এসেছিলেন। সেই মামলায় বিচারপতি নির্দেশ দেন, উত্তরপত্রের প্রতিলিপি পাওয়ার পরে কোনও পরীক্ষার্থী যদি প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং যদি দেখা যায় যে, তাঁর ক্ষোভের যুক্তি আছে, তা হলে খাতার পুর্নমূল্যায়ন করতেই হবে। বিচারপতির বক্তব্য, ছাত্রছাত্রীরা যেন এটা অনুভব করতে পারেন যে, তাঁরা কোনও ভুল বা গাফিলতির শিকার হচ্ছেন না। যা লিখেছেন, তার যথাযথ মূল্যায়নের ব্যাপারে তাঁরা যেন সন্তুষ্ট হতে পারেন। সেই জন্য সব পথে উত্তরপত্র যাচাইয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

ডিপোয় চালক-প্রশিক্ষণ স্কুল, পাশ করলে চাকরি
সরকারি ডিপোয় চালক প্রশিক্ষণের স্কুল খুলবে রাজ্যের পরিবহণ দফতর। ওই স্কুলে ‘ভাল ভাবে শেখা’ শিক্ষার্থীদের ভাল বেতনের চাকরি হবে বলে বৃহস্পতিবার কলকাতায় এক বণিকসভার আলোচনাচক্রে জানান পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। তিনি বলেন, “ওই স্কুলের পাঠ্যক্রম তৈরি করা হবে পুরোপুরি পেশাদারি ধাঁচে।” বাস ও ট্রামের ডিপোয় পেট্রোল পাম্প তৈরির বিষয়টি বিবেচনা করার কথা আগেই জানিয়েছেন মন্ত্রী। এ দিন তিনি জানান, প্রথমে শহরের চার জায়গায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলা হবে। অন্যান্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সঙ্গে এগুলোর পার্থক্য কী? মন্ত্রী বলেন, “প্রস্তাবিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ শিক্ষার্থীদের গাড়ি চালানো, মেরামতির সঙ্গে সঙ্গে নিয়মানুবর্তিতা, আচরণবিধি, ইংরেজিতে কথা বলা, কম্পিউটার প্রভৃতিও শেখানো হবে।” মদনবাবু জানান, কত দিনের পাঠ্যক্রম হবে, কত ফি হবে, দফতরের বিশেষজ্ঞেরা আলোচনা করে সেই সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে এখানে শেখা ভাল শিক্ষার্থীরা মাসে ১৫-২০ হাজার টাকার কাজ পাবেন বলে জানান পরিবহণমন্ত্রী। বিভিন্ন পরিবহণ নিগমের হাল ফেরাতে কর্মীদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে চান মদনবাবুরা। প্রশিক্ষণের সুব্যবস্থাও তারই অঙ্গ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.