গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন নিয়ে আজ বৈঠকে বন্টন কোম্পানি কর্তা
শ্চিম মেদিনীপুরে গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের কাজ সে ভাবে এগোচ্ছে না বলে অভিযোগ। খড়্গপুরে নতুন একটি ৪০০ কেভি সাব-স্টেশন তৈরির কাজ চলছে। সেখান থেকে মেদিনীপুরের ধর্মার কাছে ২২০ কেভি সাব-স্টেশনে সংযোগ আনার ক্ষেত্রেও কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। অন্য দিকে, জেলার একাংশে ঘনঘন লোডশেডিং হচ্ছে। সেচের পাম্পও চলছে না। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ, শুক্রবার মেদিনীপুরে আসছেন বিদ্যুৎ বণ্টন-সংস্থা ডব্লুবিএসইডিসিএলের চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজেশ পাণ্ডে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এ দিন দুপুর ২টোয় সার্কিট-হাউসে বৈঠক করবেন চেয়ারম্যান। উপস্থিত থাকবেন বিদ্যুৎ দফতরের পদস্থ আধিকারিকেরা। দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “মূলত গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের কাজ খতিয়ে দেখতেই এই বৈঠক। কাজ এগোতে কোথায় সমস্যা হচ্ছে, কী ভাবে সেই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যাবে, তা আলোচনা হবে। পাশাপাশি, খড়্গপুরে নতুন সাব-স্টেশন সংক্রান্ত সমস্যা নিয়েও আলোচনা হবে।” শুক্রবারের বৈঠকের পর বেশ কিছু বিষয়ে জট কাটতে পারে বলেই মনে করছেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকেরা।
গত ক’দিন ধরেই জেলার একাংশে ঘনঘন লোডশেডিং হচ্ছে। সমস্যা তীব্র কেশপুর-পিংলা ও তার আশপাশের এলাকায়। এর ফলে চাষেরও ক্ষতি হচ্ছে। মেদিনীপুরের ধর্মার কাছে একটি ২২০ কেভি সাব-স্টেশন রয়েছে। এখন আরামবাগের ৪০০ কেভি সাব-স্টেশন থেকে বিদ্যুৎ আসে। এ দিকে, আরামবাগ ও তার আশপাশের এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। পরিস্থিতি দেখে খড়্গপুরে নতুন একটি ৪০০ কেভি সাব-স্টেশন তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো কাজ শুরুও হয়। বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর, নতুন সাব-স্টেশন তৈরির কাজ প্রায় শেষ। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে অন্য জায়গায়। এই সাব-স্টেশন থেকে ধর্মায় সংযোগ আনার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে। কোথায় বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা হবে, কোথায় হবে না, জট সেখানেই। স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশও এ ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছেন। ফলে, অবস্থা জটিল হয়েছে। বিদ্যুৎ দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “খুঁটি পোতা নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে, আলোচনার মাধ্যমেই জট কাটবে বলে আমরা আশাবাদী।”
অন্য দিকে, জেলায় গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের কাজও সে ভাবে এগোচ্ছে না বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকটি এলাকায় কাজ থমকে রয়েছে। জঙ্গলমহল এলাকার ১১টি ব্লকের ২২৭৯টি মৌজায় গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের কাজ হওয়ার কথা। বছর দু’য়েক আগে কাজ শুরুও হয়। জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, এক সময় একটি সংস্থা স্বাভাবিক গতিতে কাজ না-করার ফলে এ ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। পরিস্থিতি দেখে সেই সময়ে জেলা পরিষদে গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন সংক্রান্ত এক সভা হয়। ঝাড়গ্রাম মহকুমার মধ্যে নয়াগ্রামের অবস্থা সবথেকে খারাপ বলে আলোচনায় উঠে আসে। দেখা যায়, সব মিলিয়ে যেখানে ১১৮টি মৌজায় বিদ্যুদয়নের কাজ হওয়ার কথা, সেখানে কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে মাত্র ৬টি মৌজায়। পরে অবশ্য আলোচনার মাধ্যমে জট কাটে। ওই সংস্থা ফের কাজ শুরু করে। জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ রতন দে বলেন, “একটি সংস্থা স্বাভাবিক গতিতে কাজ এগোচ্ছিল না। ফলে সমস্যা দেখাত দেয়। তবে আলোচনার মাধ্যমে জট কেটেছে। এখন ফের কাজ চলছে।” তবে, গত বছরের মধ্যে ওই ২২৭৯টি মৌজায় বিদ্যুদয়নের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা হয়নি। কিন্তু কেন? বৈঠকে সেই প্রসঙ্গও উঠবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.