টুকরো খবর |
বিনা ভোটে জয়ী টিএমসিপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ। ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। বিশ্ববিদ্যালয়েও এ বার যেমন টিএমসিপিকে সে-ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে পড়তে হয়নি, হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজেও লড়াইয়ের সামনা-সামনি হতে হল না। বৃহস্পতিবার হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র তোলার দিন ছিল। আসন সংখ্যা ১৮টি। জানা গিয়েছে, এ দিন সব মিলিয়ে মাত্র ১৮টি মনোনয়নপত্রই তোলা হয়েছে। টিএমসিপি-র কর্মী-সমর্থকরাই মনোনয়নপত্র তুলেছেন। আগামী ১৬ এপ্রিল এখানে ভোট হওয়ার কথা ছিল। এখন আর ভোট হওয়ার পরিস্থিতি রইল না। কলেজের টিএমসিপির ইউনিট সভাপতি অলোক সাউ বলেন, “১৮ টি আসনের জন্য আমাদের ১৮ জনই মনোনয়নপত্র তুলেছেন।” তাঁর কথায়, “সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা আর এসএফআইয়ের পাশে নেই।” তবে এই প্রথম নয়, গত তিন বছর ধরেই এখানে ছাত্র-সংসদ দখলে রেখেছে টিএমসিপি। ২০০৯ সালে প্রথম এখানে জেতে তারা। হোমিওপ্যাথি কলেজের নির্বাচনে এ বার প্রার্থী দিতে না-পারার জন্য ‘সন্ত্রাসে’র প্রসঙ্গই তুলছে এসএফআই। এসএফআইয়ের শহর জোনাল সম্পাদক অসিত লৌহ বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে ওখানে সন্ত্রাসের আবহ রয়েছে। ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে।” অভিযোগ উড়িয়ে টিএমসিপির শহর সভাপতি বুদ্ধ মণ্ডল বলেন, “সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা আর এসএফআইয়ের পাশে নেই। তাই ওরা প্রার্থী দিতে পারেনি।”
|
বেলদায় সিপিএম অফিস দখলে অভিযুক্ত তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সিপিএমের শাখা অফিস দখলের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বেলদায়। ওই অফিসে এখন তৃণমূলের পতাকাও রাখা হয়েছে। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে সিপিএম। বুধবার এই সিপিএম অফিস তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা দখল করেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এখানে গোলমাল হয়। সিপিএমের শাখা সম্পাদক অনুপ গিরিকে অফিস থেকে বের করে তৃণমূলের লোকজন তালা ঝুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। বুধবার অফিসটি ‘পাকাপাকি ভাবে’ দখল করা হয়। সিপিএমের বেলদা জোনাল সম্পাদক ভাস্কর দত্তের অভিযোগ, “আমাদের বেলদা শহর শাখা অফিসটি দখল করা হয়েছে। পুলিশের কাছে এই নিয়ে অভিযোগও জানিয়েছি। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।” তৃণমূলের নারায়ণগড় ব্লক সভাপতি সূর্য অট্টের অবশ্য দাবি, “অফিসটি দীর্ঘদিন আগেই ওরা (সিপিএম) ছেড়ে চলে যায়। এখন থেকে সাধারণ মানুষের কাজ হবে!”
|
‘প্রতারক’, নামঞ্জুর আগাম জামিন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
‘প্রতারক’ অভিযুক্ত দিল্লিবাসীর আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর হল না মেদিনীপুর আদালতে। বৃহস্পতিবার তরুণ তৃখা নামে ওই ব্যক্তির আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করেন মেদিনীপুরের জেলা ও দায়রা বিচারক মির দারা শেকো। পুলিশ ও আদালত সূত্রে খবর, তরুণ তৃখার বাড়ি দিল্লির করলবাগে। অভিযোগ, বছর তিনেক আগে তরুণ খড়্গপুর শহরে এসে নিজেকে একটি সংস্থার আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে কয়েক জনের থেকে নানা প্রলোভনে অর্থ আদায় করেন। কম সময়ে দ্বিগুণ অর্থ ফেরতের প্রতিশ্রুতিও দেন। প্রতারিত হয়ে এক মহিলা গত বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি খড়্গপুর টাউন থানায় অভিযোগ জানান। পুলিশ তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাতে দিল্লির করলবাগেও গেলেও খোঁজ পায়নি। সম্প্রতি অভিযুক্তের আইনজীবী মেদিনীপুর আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানান। বৃহস্পতিবার শুনানিতে বিচারক আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করেন।
|
নদী সংস্কারের দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বর্ষার আগেই কপালেশ্বরী ও তার শাখা খালগুলি সংস্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার কেলেঘাই-কপালেশ্বরী-বাগুই প্রোজেক্ট ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র মানস ভারতীর দ্বারস্থ হল মেদিনীপুর জেলা বন্যা প্রতিরোধ কমিটি। নেতৃত্বে ছিলেন কমিটির সম্পাদক পঞ্চানন প্রধান, নারায়ণ নায়েক, জগন্নাথ দাস, অশোকতরু প্রধান। কমিটির বক্তব্য, বর্ষার আগেই কপালেশ্বরী ও তার শাখা খালগুলি সংস্কার করা জরুরি। না হলে এ বারও আশপাশের এলাকার মানুষ সমস্যায় পড়বেন। সেই সঙ্গে এই প্রকল্পের জন্য যাঁদের জমি অধিগ্রহণ হবে, তাঁদের পুনর্বাসন ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে কমিটি।
|
বন্দিমুক্তির সভা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার হওয়া বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মেদিনীপুরে সভা করল বন্দিমুক্তি কমিটি। বৃহস্পতিবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠে (বালক) এই সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিটির রাজ্য সম্পাদক ছোটন দাস, সহ-সভাপতি প্রণব দাশগুপ্ত, জগবন্ধু অধিকারী, দীপক বসু, অশোক মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। মিথ্যা মামলায় প্রত্যাহারের পাশাপাশি অন্যান্য মামলাও দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানান নেতৃত্ব।
|
ক্ষতি বেশি লালগড়ে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
গত কয়েক দিনের ঝড়-বৃষ্টিতে জেলার মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে লালগড়ে (বিনপুর-১ ব্লক)। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রাম মহকুমায় ৬৭৭টি বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩ হাজার ৬৮২টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার বাড়িই লালগড়ে। তবে এখনও ক্ষয়ক্ষতির হিসেব চলছে। আপাতত, ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়ার জন্য ২ হাজার ত্রিপল পাঠানো হয়েছে ঝাড়গ্রাম মহকুমায়। |
|