কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপ, নতুন রেললাইন তৈরি করার জন্য কেটে ফেলা হচ্ছে কয়েক শো ছোট-বড় গাছ। কৃষ্ণনগর-নবদ্বীপ ১২ কিলোমিটার ব্রডগেজ লাইন তৈরি করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে আমঘাটা পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার রেলপথ তৈরি হবে। আগে কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপ পর্যন্ত ওই লাইন দিয়েই ‘ছোট ট্রেন’ যাতায়াত করত। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ন্যারোগেজ লাইনটিকে ব্রডগেজে পরিণত করার কথা ঘোষণা করেন। সম্প্রতি সেই কাজ শুরু হয়েছে। আর তার লফলেই কাটা পড়ছে গাছগুলি। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে রেল লাইন তৈরির জন্য মোট ৫৬৫টি গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে কৃষ্ণনগর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিকে ৪৮৭টি এবং সরাসরি রেল দফতরকে ৭৮টি গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। |
কৃষ্ণনগর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানানো হয়েছে, ১৯৮৫ সালে সামাজিক বনসৃজন প্রকল্পের মাধ্যমে ওই ন্যারোগেজ লাইনের পাশ বরাবর কয়েকশো গাছ পোঁতা হয়েছিল। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের শিবুনাথ ঘোষ বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতি যে গাছ গুলি লাগিয়েছিল সে গুলো কেটে নেওয়া হয়েছে। রেললাইন তৈরির জন্য বৃহত্তর স্বার্থে এটা আমাদের করতেই হল।” কিন্তু পরিবেশের কি হবে? তিনি বলেন, “সে কথা মাথায় রেখে রেল লাইন তৈরি হওয়ার পর তিন গুন গাছ লাগোনোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
রেলের শিয়ালদহ বিভাগের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার (নির্মাণ) এইচসি পাল বলেন, “বৃহত্তর স্বার্থে রেললাইন তৈরি হচ্ছে। আর রেল লাইন তৈরি করতে গাছ গুলো কাটা ছাড়া উপায় ছিল না।”
|