ইন্টারনেটে নিয়ন্ত্রণ জারি করতে বড় ধরনের অভিযানে নামল চিন। ৪২টি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ব্লগের বক্তব্যের উপরে কড়া নজরদারি শুরু করেছে চিনা সরকার। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেটে প্রকাশিত ২ লক্ষেরও বেশি বক্তব্য। সম্প্রতি বড় ধরনের রাজনৈতিক কেলেঙ্কারির মুখে পড়েছিল চিনের শাসক কমিউনিস্ট পার্টি। পার্টির অনুশাসন না মানায় বহিষ্কার করা হয় নেতা বো জিলাইকে। এক ব্রিটিশ নাগরিকের হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ওই নেতার স্ত্রী ও এক কর্মচারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার পরেই কমিউনিস্ট পার্টিতে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। রাজধানীর পথে ট্যাঙ্ক ঘুরে বেড়ানোর পুরনো ছবি দিয়ে অভ্যুত্থানের গুজবও ছড়ায় কিছু ওয়েবসাইট। চিন সরকার জানিয়েছে, গুজব ছড়িয়ে সামাজিক স্থিতি নষ্ট করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের মতে, বিভিন্ন ব্লগে কী বক্তব্য প্রচারিত হচ্ছে তার উপরে নজর রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইন্টারনেট পরিষেবা সংস্থাগুলিরও দায়িত্ব আছে বলে জানিয়েছে তারা।
|
কন্দহর বিমানবন্দরে তালিবানি হামলা থেকে জোর রক্ষা পেলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। দু’দিনের সফরে আফগানিস্তান গিয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী স্টিফেন স্মিথ ও তাঁর দফতরের কয়েক জন পদস্থ কর্তা। বুধবার দেশে ফেরার জন্য তাঁরা যখন সবে বিমানে উঠেছেন, এমন সময়েই শুরু হয় ক্ষেপণাস্ত্র হানা। বিমানবন্দরের রেডারে এই ছবি ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গেই সতর্ক করে দেওয়া হয় সকলকে। স্মিথ অবশ্য দাবি করেছেন, এই হামলা তাঁদের লক্ষ্য করে হয়নি।
|
গত কালের ভূমিকম্পের পর চেনা ছন্দে ফিরছে ইন্দোনেশিয়া। এরই মধ্যে এক সরকারি মুখপাত্র জানান, কাল সুমাত্রায় প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ জন। তবে বাড়ি ধসে নয়, আতঙ্কে হৃদরোগের শিকার এঁরা সকলে। গত দশকে একাধিকবার কম্পন হওয়ায় বেশিরভাগ বাড়ি ঘরই তৈরি হয়েছে ভূমিকম্প-নিরোধী প্রযুক্তিতে। এর ফলেই বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। ২০০৪ সালের সুনামিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আচে প্রদেশ। মারা গিয়েছিলেন এক লক্ষ সত্তর হাজারেরও বেশি মানুষ। এ বারও মৃতেরা সকলে এই প্রদেশেরই বাসিন্দা। পাঁচ জনের প্রাণহানি ছাড়াও ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন সাত জন। এর মধ্যে এক শিশুর আঘাত গুরুতর। |