কলকাতায় খেলতে এসে তাঁর ফুটবলারদের বিরক্ত করার জন্য কলকাতার ক্লাবগুলোকে তোপ দাগলেন আর্মান্দো কোলাসো।
ডেম্পোর একাধিক ফুটবলার কলকাতার তিন প্রধানের লক্ষ্য। গোলকিপার শুভাশিস রায়চৌধুরী থেকে শুরু করে ফরোয়ার্ড জোয়াকিম আব্রাঞ্চেস। র্যান্টি মার্টিন্সকে তো ইতিমধ্যেই চুক্তিবদ্ধ করে ফেলেছে প্রয়াগ ইউনাইটেড। ডেম্পো ফুটবলাররা আসার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে ক্লাবগুলো। এ নিয়েই সোচ্চার ডেম্পো কোচ। সাংবাদিকদের বলেন, “এ ভাবে সব ক্লাব যে ভাবে আমাদের প্লেয়ারদের বিরক্ত করছে, তা খুব অন্যায়।”
র্যান্টি মার্টিন্স নিজে তাঁর দলবদল নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। “আমার সঙ্গে ওডাফার লড়াই নয়। ম্যাচটা ডেম্পো বনাম মোহনবাগান।” বলার পরে যেই দলবদলের প্রসঙ্গ উঠেছে, র্যান্টি বলেছেন, “প্রয়াগ বা ইস্টবেঙ্গল নিয়ে কোনও কথা বলব না।” আর্মান্দো মানতে নারাজ, র্যান্টি সই করে ফেলেছেন প্রয়াগ ইউনাইটেডে। “ওর স্ত্রী, বাচ্চারা গোয়ায় মানিয়ে নিয়েছে। আমার মনে হয় না, ও যাবে।” বলে আবার উদাসী গলায়, “গেলে যাবে। এর আগে তো বেটোও চলে গেছে। আমরা আবার নতুন করে টিম সাজিয়েছি।”
আর্মান্দো যতই উষ্মা প্রকাশ করুন, কলকাতার ক্লাবগুলি অবশ্য আই লিগের মাঝে দলগঠনের কাজ চালিয়ে গিয়েছে। বেশ কয়েকটি দলের টার্গেটে থাকা বেলো রাজ্জাককে গোয়া যাওয়ার আগেই তড়িঘড়ি চুক্তি করিয়ে নিল প্রয়াগ ইউনাইটেড। গত বছর বেলো যথেষ্ট ভাল খেলেছেন। অর্ণব মণ্ডল ইস্টবেঙ্গলে চলে যাওয়ায় বেলোকে না নিতে পারলে সমস্যায় পড়ত সঞ্জয় সেনের দল। প্রয়াগ কর্তাদের দাবি, দীপক মণ্ডলও গোয়া যাওয়ার আগে কথা দিয়ে গিয়েছেন থাকবেন। প্রয়াগের দেওয়া আর্থিক প্রস্তাবে তিনি নাকি রাজি। জাতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলারের ধারাবাহিকতা দেখে তাঁকে দলে চাইছে ডেম্পো এবং ইস্টবেঙ্গল।
ওডাফাকে আরও এক বছর চুক্তিবদ্ধ করিয়ে নেওয়ার পর মোহনবাগান কোন বিদেশিদের নেবে তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা রয়েছে। শোনা যাচ্ছে, সাদার্ন সমিতির নাইজিরিয়ান স্টপার আনিচি ইচেকে সই করাতে পারে মোহনবাগান। গত বছর সাদার্নের হয়ে নজর কেড়েছিলেন এচে। পরীক্ষিত ফুটবলার বলেই তাঁকে নিতে চায় বাগান। বর্তমান মরসুমে সাইমন স্টোরিকে বাদ দিয়ে নতুন স্টপার নেওয়ার সময় এচের নামই প্রথমে উঠেছিল। কিন্তু সাদার্নের সঙ্গে চুক্তি থাকায় তা হয়নি। এচের এজেন্ট যে বায়োডাটা মোহনবাগানকে দিয়েছেন, তাতে লেখা অনূর্ধ্ব ১৭ নাইজিরিয়ার বিশ্বকাপ শিবিরে ছিলেন এই স্টপার। সবুজ-মেরুন কর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, চেনা ফুটবলারকেই দলে নেবেন। এবং সারা বছর যাতে ডুবতে না হয় সে জন্য একজন ভাল বিদেশি স্টপার শুরু থেকেই নেবেন। ফলে এচের সবুজ-মেরুন জার্সি পরার সম্ভাবনা প্রবল।
এ দিকে, ইস্টবেঙ্গল মিডিও সুশান্ত ম্যাথুর যা চোট তাতে প্রায় ছয়-সাত মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে। টোলগে-রবিনের মতোই সুশান্তর সঙ্গে লাল-হলুদের চুক্তিও শেষ হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সুশান্তর থেকে যাওয়া ছাড়া কোনও গতি নেই। টোলগের মতো না হলেও রবিন বর্তমান মরসুমের তুলনায় প্রায় আড়াইগুণ টাকা চেয়েছেন।
|
মোহনবাগান: ডেম্পো (যুবভারতী ৩-৩০)
চার্চিল ব্রাদার্স: প্রয়াগ ইউনাইটেড (মারগাও, ৫-৩০) |