|
|
|
|
|
এক ঝলকে... |
পৃথিবী
২৫ মার্চ - ৩১ মার্চ |
|
ওয়াশিংটন/তেল আভিভ ইসলামাবাদ হাভানা ভেরোনা দামাস্কাস |
• ভবি ভুলুক, ওবামা ভোলেন না। স্পষ্ট কথা তাঁর, ইরান থেকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা তোলার প্রশ্নই নেই। ইরান আগে রাষ্ট্রপুঞ্জের কথায় কান দিক, তার পর অন্য কথা। তাতে ইরানের তেল পাওয়া যাবে না? কুছ পরোয়া নেই, সারা পৃথিবীতে অনেক তেল মজুত আছে। ইরানের তেল না পাওয়া গেলেও কিস্যু এসে যায় না। অন্তত আমেরিকার। সুতরাং চরৈবেতি। এ দিকে গত সপ্তাহান্তে ইজরায়েলের রাজধানীতে দেখা গেল যুদ্ধবিরোধী মিছিল (ছবি)। কোনও মতেই যুদ্ধ নয়, প্রতিবাদীদের দাবি। রাষ্ট্রকর্তাদের কানে কি গেল সে কথা?
|
• ইতালির ভেরোনা শহরে এক নাগরিক আত্মঘাতের চেষ্টা করলেন। ইতালির আরও লক্ষ লক্ষ মানুষের মতোই বেশ কয়েক মাস কোনও মাইনে পাননি তিনি। আগের দিনই বোলোগনা শহরে এক মধ্যবয়সী ইতালীয় ব্যবসায়ী কর দিতে না পারার লজ্জায় আত্মঘাতী হতে বসেছিলেন।
• পোপ দ্বিতীয় বেনেডিক্ট ও কিউবার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোর ঐতিহাসিক বৈঠকে পোপ কড়া সমালোচনা করলেন মার্কিন দেশের পঞ্চাশ বছর ধরে কিউবায় বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার সিদ্ধান্তের। ভ্যাটিকানের মুখে ওয়াশিংটনের সমালোচনা সুলভ নয়, বলাই বাহুল্য।
• সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট আসাদ নাকি রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি প্রস্তাবে শেষ পর্যন্ত রাজি হতে পারেন শর্তসাপেক্ষে। শর্তটি হল, তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে দেশজোড়া সন্ত্রাস এখনই বন্ধ হতে হবে। হায়, কে সন্ত্রাস চালায়, কে-ই বা শর্ত দেয়।
|
• পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট ইউসুফ রাজা গিলানির উপর থেকে কালো ছায়া আর সরছে না। তাঁকে পাক সুপ্রিম কোর্ট কড়া হুমকি দিয়েছে এ সপ্তাহে, তিনি যদি দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত প্রেসিডেন্ট জারদারির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বারের জন্য আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে। এ বছরেরই গোড়ায় প্রথম অবমাননার অভিযোগটি উঠেছিল। |
|
বেজিং |
চিনের কমিউনিস্ট পার্টির শাসনের সবচেয়ে বিখ্যাত সমালোচক, শিল্পী আই ওয়াইওয়াই-এর হয়রানি সম্ভবত আরও অনেক দিন চলবে। তাঁর বিরুদ্ধে দেড় কোটি ইউয়ান আয়কর ফাঁকির মামলা ঠুকে দেওয়া হয়েছিল কিছু দিন আগে। সম্প্রতি আয়কর কর্তৃপক্ষ জানাল, সেই মামলার কোনও প্রকাশ্য শুনানি হবে না। যা হবে, সবই লিখিত ভাবে, এবং তা জনসমক্ষে আসবে না। ওয়াইওয়াই স্বভাবতই হতাশ। তিনি বলেছেন, এটা কেমন দেশ, যেখানে অভিযুক্ত নিজের ‘অপরাধের’ ঘটনা প্রকাশ্যে আনতে চায়, অথচ সরকার তাতে রাজি নয়? সরকার কী লুকোতে চাইছে? এই প্রশ্ন অবশ্য অবান্তর, কারণ চিনের কমিউনিস্ট কর্তৃপক্ষ কী করতে চাইছে, তা নিয়ে সংশয় নেই। তারা ওয়াইওয়াইকে একটা উদাহরণ হিসেবে খাড়া করতে চায় সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললে তার ফল কী হতে পারে, তার উদাহরণ। |
ইয়াঙ্গন |
আজ মায়ানমারে জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন। সামরিক বাহিনীর শাসনের অবসান ঘটিয়ে সেনা-সমর্থিত অসামরিক সরকার আসার পরে প্রথম নির্বাচন হচ্ছে সে দেশে। ভোট হচ্ছে পঁয়তাল্লিশটি আসনে। তবে গোটা দুনিয়ার নজর একটি আসনে নিবদ্ধ। এই কেন্দ্রের অন্যতম প্রার্থী ন্যাশনাল লিগ ফর ডিমক্র্যাসি দলের আউং সান সু চি। মায়ানমারের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী, নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী সু চি বলেছেন, এই নির্বাচনকে তিনি অবাধ এবং ন্যায়সম্মত বলে মানতে নারাজ, তবে গণতন্ত্রের এগিয়ে যাওয়ার স্বার্থে তিনি এবং তাঁর দল ভোটে যোগ দিয়েছেন। এই পরিণত বুদ্ধিই দেশটির বড় ভরসা।
|
প্যারিস ও টুলুজ |
গত সপ্তাহের সন্ত্রাসবাদীর খোঁজে নেমে ফ্রান্সের পুলিশ ও প্রশাসন এখন ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে। টুলুজের অভিযানে জনা-কুড়ি ইসলামি জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়াও অভিযান চলছে প্যারিস, লিয়ঁ, মার্সেই, নিস ইত্যাদি শহরে। মহম্মদ মেরা পর পর ৭ জনকে মারার পর পলাতক মেরাকে ধরতে পারে ফরাসি পুলিশ। গত ২২ মার্চ তিনি নিহতও হন পুলিশের গুলিতে। আদতে তিনি আলজিরীয়, কিন্তু আলজিরিয়া তাঁর দেহ নিতে অস্বীকার করায় তাঁকে টুলুজ-এ কবর দেওয়া হয়। এই রাষ্ট্রীয় তল্লাশির চোটে ফরাসি মুসলিম সমাজে উষ্মা জমছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট সারকোজির কড়া বক্তব্য: ফ্রান্সকে যে কোনও মূল্যে নিরাপদ করতেই হবে, নো কম্প্রোমাইজ!
|
লন্ডন |
ব্রিটেনে নাকি প্রতি পাঁচ জনে এক জন ‘কার্যত নিরক্ষর’। ওষুধের লেবেল পড়া বা চেক লেখার মতো কাজও তারা করতে পারে না। ওয়ার্ল্ড লিটারেসি ফাউন্ডেশন বিশ্বের ধনীতম দেশগুলির সাক্ষরতার হার নিয়ে যে সমীক্ষা করে, তাতেই জানা যায় এই তথ্য। অবশ্য, নিরক্ষর মানুষের অনুপাতে ব্রিটেন তিন নম্বর দেশ। প্রথম ইতালি, সে দেশে ৪৭ শতাংশ মানুষই ‘নিরক্ষর’। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আছে চার নম্বরে।
|
শেষ পাত |
দু’জনে দেখা হল...। দু’জনেই অশীতিপর, এবং দু’জনেই নিজ নিজ সাম্রাজ্যের অবিসংবাদী নেতা। এক জনের নাম ফিদেল কাস্ত্রো, অন্য জন পোপ বেনেডিক্ট। প্রথম জন কিউবার কমিউনিস্ট বিপ্লবের জনক এবং চরম নাস্তিক। দ্বিতীয় জন এই ধরাধামে খ্রিস্টধর্মের সর্বোচ্চ নেতা। কিউবার রাজধানী হাভানায় ভ্যাটিকান দূতাবাসে এই দুই নেতার সম্মেলন অ-পূর্ব ঘটনা। কাস্ত্রো পোপের কাছে জানতে চাইলেন, এক জন পোপের কাজটা ঠিক কী? পোপ বুঝিয়ে বলেছেন। তবে, সম্ভবত সৌজন্যবশতই, প্রতিপ্রশ্ন করেননি আজকের দুনিয়ায় এক জন কমিউনিস্ট নেতারই বা কাজ কী? |
|
|
|
|
|