বিহারে বিদ্যুতের মাসুল বাড়তে চলেছে। কাল ১ এপ্রিল থেকে এই মাসুল বৃদ্ধি কার্যকর হবে বলে বিহার ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটেরি কমিশন (বিইআরসি) থেকে জানানো হয়েছে। বিইআরসি ১২.১% মাসুল বৃদ্ধি অনুমোদন করেছে।
বিইআরসি-র তরফে জানানো হয়েছে তিনটি ধাপে এই মসুল বৃদ্ধি হচ্ছে। সাধারণ গ্রাহকদের প্রথম ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত ১০ পয়সা করে প্রতি ইউনিটে বাড়তি দিতে হবে। এর পরের ধাপে অতিরিক্ত ২০ পয়সা করে ইউনিট প্রতি দিতে হবে। বাণিজ্যিক কারণে ব্যবহৃত ইউনিট প্রতি বৃদ্ধির হার ৫০ পয়সা। তবে এর থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে কৃষি ক্ষেত্র, গ্রামীণ বিদ্যুৎ এবং কুটির জ্যোতি প্রকল্পের গ্রাহকদের। মাসুল বৃদ্ধির ফলে ৮৪১ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা ঘাটতির মধ্যে ৬৮৩ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা রাজ্য সরকার ভর্তুকি দেবে। বাকি টাকা মাসুল বৃদ্ধি থেকে সংগ্রহ হবে।
তিনটি ক্ষেত্রে অবশ্য প্রায় ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহের শর্তে বিলের উপর ১০ শতাংশ অতিরিক্ত প্রিমিয়াম নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পটনা, রাজগির এবং বুদ্ধগয়ায় এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। আগেই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ডিসেম্বর থেকে ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। এ বার এক সঙ্গে প্রতিটি ধাপে মাসুল বৃদ্ধি করে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিহার বিদ্যুৎ পর্ষদ।
২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যাপারে অবশ্য আরও একটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কারিগরি কারণে যেমন গ্রিড খারাপ হয়ে যাওয়া বা বিদ্যুৎ সরবরাহে অন্য কোনও বিঘ্ন ঘটলে তা এর মধ্যে প্রযোজ্য হবে না। মাসে অন্তত ৬০০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। বিইআরসি-র চেয়ারম্যান ইউ এন পাঞ্জিহার বলেন, “মাসুল বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিহার রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের সব প্রস্তাব মানা যায়নি। তবে মাসুল বৃ্দ্ধির ক্ষেত্রে গ্রাহক ও পর্ষদ দু’ তরফেরই স্বার্থ বজায় রাখার চেষ্টা হয়েছে।” |