দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজাবাজারে গণ্ডগোলের ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতেরা সবাই পাটোয়ারবাগান এবং রাজাবাজার এলাকার বাসিন্দা। এ দিকে, নিরাপত্তার অভাবের অজুহাতে শনিবার বন্ধ রাখা হয় ২৩০ নম্বর রুটের বাস। শুক্রবার রাত সওয়া আটটা নাগাদ রাজাবাজার ট্রাম ডিপোর উল্টো দিকে ওই রুটের বাসের ধাক্কাতেই শেখ কেনা (৪৫) নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনার পরই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে রাজাবাজার এলাকা। তিনটি বাসে আগুন লাগানো হয়। ভাঙচুর করা হয় ন’টি বাসে। এর পর রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দা। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠি চালায় পুলিশ। মোতায়েন করা হয় র্যাফও। ওই ঘটনার জেরে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোডে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এ দিন বাস না চালানোর পিছনে কর্মীদের একাংশের যুক্তি, দোষ কার তা না দেখেই বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। কর্মীদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ তাঁদের। বাস মালিকদের একাংশেও জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনায় বিমার টাকা পেতে অসুবিধা হয়। তবে ওই রুটের বাসকর্মী ও মালিকদের নিয়ে বৈঠক করেন পরিবহনমন্ত্রী তথা কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, “শ্রমিক ও মালিকেরা শুক্রবারের ঘটনায় সন্ত্রস্ত ছিলেন। ভয়ে ওঁরা বাস, চালাতে চাননি। বিষয়টি নিয়ে আমি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। বাসকর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়েও নজর রাখা হবে।” আজ, রবিবার থেকে ওই রুটে স্বাভাবিক ভাবে বাস-চলাচল হবে বলেও আশ্বাস মন্ত্রীর। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর রাজাবাজার এলাকায় বিভিন্ন গলির মুখে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছিল। শনিবার সে সব প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এ দিন নতুন করে গোলমাল হয়নি। তবে, পরিস্থিতির উপরে কড়া নজর রেখেছে পুলিশ। তবে ওই বাসের চালক এবং খালাসির এখনও খোঁজ মেলেনি।
রাজাবাজারের ওই এলাকায় পর পর দুর্ঘটনার কারণে সেখানে ‘হাম্প’ তৈরি করা হয়েছে। গত দেড়মাসের মধ্যে দুর্ঘটনা ঘিরে তিন-তিন বার রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে রাজাবাজার। ভাঙচুরের ফলে নষ্ট হয়েছে বহু বাস ও সরকারি সম্পত্তি। |