পুর আইন, আদালতের স্থগিতাদেশের তোয়াক্কা না-করে বাড়ি তৈরির ঘটনায় অভিযুক্ত এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়া এবং হামলার অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নারায়ণপুর এলাকায়। সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা ওই বেআইনি নির্মাণ দেখতে গেলে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল শশাঙ্কশেখর মুখোপাধ্যায় হামলা চালান বলে অভিযোগ। জেলার পুলিশ সুপারের দফতরে চাকরি করার সুবাদেই তিনি আইন, আদালতের পরোয়া না-করেই বেআইনি নির্মাণ চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। গোটা বিষয়টি জেনে জেলা পুলিশ সুপার চিরন্তন নাগ বলেন, “বালুরঘাট থানা কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি।” অভিযুক্ত পুলিশ কমীর্র বক্তব্য, “সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের মারধর করে ক্যামেরাও কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ভুয়ো।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, নিয়ম মেনে জায়গা কিনে বাড়ি তৈরি করলেও বিক্রেতার পক্ষ থেকে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাওয়া অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা নারায়ণী অধিকারীর কাছ থেকে গত ২০১১ সালে ওই পুলিশ কর্মী তাঁর স্ত্রী দিপালী দেবীর নামে জমি কিনে পাকা বাড়ি তৈরিতে নামলে গোলমালের সূত্রপাত। নারায়ণী দেবীর অভিযোগ, আড়াই শতক জমি বিক্রির চুক্তি হলেও ওই পুলিশ কর্মী প্রতারণা করে পৌনে তিন শতক জমি বিক্রির দলিল তৈরি করে তাঁকে দিয়ে সই করিয়ে নেন। পুর আইন মেনে ৪ ফুট জায়গা না ছেড়েই নির্মাণ কাজ শুরু করেন। নারায়ণী দেবীর তরফে এ বিষয়ে বালুরঘাট পুরসভা এবং থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুরসভার পক্ষ থেকে ২০১১ সালের ৫ এপ্রিল বাড়ি তৈরির উপর স্থগিতাদেশের নোটিশ জারি হয়। এর পরে ওই পুলিশ কর্মী তাঁর মাকে ক্রমাগত প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ জানিয়ে বালুরঘাট থানার দ্বারস্থ হন নারায়ণী দেবীর মেয়ে তানিয়া ভাদুড়ি। তানিয়া দেবীর অভিযোগ, পুলিশ ব্যবস্থা না-নেওয়ায় তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। গত বছর বালুরঘাটের সিভিল জজ জুনিয়র ডিভিশন আদালতের বিচারক বাড়ি নির্মাণের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে বালুরঘাট থানার আইসিকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। তাও অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী নির্মাণ কাজ চালিয়ে যান। |