| শহরের প্রাচীনতম দিনবাজার ধাপে ধাপে সংস্কার করার কাজ শুরু করতে চলেছে জলপাইগুড়ি পুরসভা। পুর কর্তৃপক্ষ জানান, দিনবাজারের টিনশেড বলে পরিচিত জীর্ণ বাজারের অংশটি ভেঙে নতুন ভবন তৈরির কাজ আগামী মাসেই শুরু হবে। প্রায় ১ কোটি টাকা খরচে ওই অংশে বাজারের নতুন ভবন তৈরি করা হবে। ঘিঞ্জি দিনবাজার কার্যত জতুগৃহে পরিণত হয়ে রয়েছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে। বাজারের ভিতরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অপরিসর বাজার চত্বরে দমকলের ইঞ্জিন ঢুকতে পারে না বলে পুরসভার সমীক্ষাতেই ধরা পড়েছে। কলকাতায় আমরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর পুরসভা এবং দমকল বিভাগ থেকে যৌথ পরিদর্শন চালান হয় দিনবাজারে। রিপোর্টে দুপক্ষই দিনবাজার সংস্কারের উপর জোর দেয়। এরই মধ্যে হাতিবাগানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর দিনবাজার সংস্কার নিয়ে দেরি করতে চাইছে না পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত ২ টি ধাপে বাজারের একাংশ সংস্কারের কাজ হবে। অবৈধ দখলদারদের হঠাতে বাজারে শীঘ্রই অভিযান চালাবে পুরসভা। তার পরেই টিনশেডের অংশের নতুন ভবন তৈরির কাজ শুরু করা হবে। পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “দিনবাজার সংস্কার করতে ব্যবসায়ী এবং প্রশাসনের সঙ্গে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা করছি। চলতি বছরের পুর বাজেটেও দিনবাজার সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।” পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, পরিকল্পনা মতো অভিযান চালাতে চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন থেকেই দিনবাজার জুড়ে পুরসভা মাইকে ঘোষণা শুরু করবে। বাজারে অবৈধ দখলদারদের ইতিমধ্যেই সরে যেতে বলা হয়েছে। দখলদাররা সরে গেলে বাজারের প্রবেশ পথের ঘিঞ্জি পরিবেশ অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। বর্তমানে দু’শোর উপরে দখলদার বাজারে রয়েছে বলে পুর কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “দিনবাজার নিয়ে পুরসভা আর দেরি করতে রাজি নয়। চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছে। দিন কয়েকের মধ্যেই ওই সমস্ত অবৈধ দখলদারদের হঠাতে বড় মাপের অভিযান হবে। এর পরেই টিনশেড তৈরির কাজ শুরু হবে।” কাজ শুরুর ২ মাসের মধ্যেই নতুন ভাবে টিনশেড তৈরির কাজ শেষ করতে চাইছে পুর কর্তৃপক্ষ। সংস্কার কাজ চলার সময় সেখানকার ব্যবসায়ীদের বিকল্প জায়গা দেওয়া হবে। নতুন টিনশেডের ভবনে পুরনো ব্যবসায়ীদের অগ্রাধিকার দেবে পুরসভা। |
