রিকশা ভাড়া নিয়ে চালকদের একাংশের সঙ্গে বাসিন্দাদের বচসা লেগেই রয়েছে। অথচ চালকদের একাংশ পুরসভার নির্দেশ মতো পোশাক না-পরায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুর কর্তৃপক্ষ যতটা তৎপর, ভাড়া নিয়ে সমস্যা মেটাতে ততটা নয় বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার পুরসভায় ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মা রিকশা মালিকদের সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে চালকদের নির্ধারিত পোশাক পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেন। অথচ বৈঠকে ভাড়ার সমস্যা নিয়ে কোনও আলোচনা করেননি তিনি। চালকদের একাংশ পোশাক না পরায় ডেপুটি মেয়রের নির্দেশে সম্প্রতি ২১ টি রিকশার নম্বর প্লেট খুলে রাখা হয়। তা নিয়ে আপত্তি তোলে বৃহত্তর শিলিগুড়ি সাইকেল রিকশা ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। তারা ৯ এপ্রিল থেকে ধর্মঘটের হুমকি দেয়। এর পরেই এ দিন বৈঠক ডাকা হয়। ডেপুটি মেয়রের নির্দেশে এ ভাবে নম্বর প্লেট খোলা নিয়ে পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের অবশ্য আপত্তি রয়েছে। ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবশঙ্কর সাহা বলেন, “নম্বর প্লেট খোলার ব্যাপারে কিছু জানতাম না। বিষয়টি জেনে নম্বর প্লেট রিকশার মালিকদের ফেরত দেওয়ার জন্য রঞ্জনবাবুকে বলেছিলাম।” এ দিন বৈঠকের পর খুলে রাখা নম্বর প্লেট ফেরত দেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে চালকেরা যাতে পুরসভার নির্দেশ মতো পোশাক পরেন তা নজরদারি করবেন রিকশা মালিকদের সংগঠনের সদস্যরাই। এ দিন বৈঠকের পর তারা ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মা বলেন, “রিকশা চালকদের একাংশ পোশাক পরছেন না। সে কারণে সতর্ক করতে কিছু রিকশার নম্বর খুলে রাখা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে এ দিন বৈঠক ডাকা হয়েছে। ঠিক হয়েছে চালকরা পোশাক পরছেন কি না বুধবার থেকে নজরদারি করবেন রিকশা মালিকদের সংগঠনের সদস্যরাই।” ভাড়ার বিষয়টি নিয়ে রিকশা মালিকদের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেছিলেন মেয়র। তিনিই এ ব্যাপারে মালিকদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন বলে জানান রঞ্জনবাবু। বৃহত্তর শিলিগুড়ি সাইকেল রিকশা ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের অভিযোগ, রিকশায় উঠলেই ৫ টাকা হিসাবে ন্যূনতম যে ভাড়া ঠিক করা হয়েছিল তা নিয়ে সংগঠনের আপত্তি রয়েছে। চালকরাও এটা মানতে চান না। পুর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে বৈঠকে বসবেন বলে কয়েক মাস ধরেই আশ্বাস দিচ্ছেন। অথচ তা ঠিক না হওয়ায় সমস্যা চলছেই। চালকেরা সওয়ারির কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করলেও মালিকরা কিছু বলতে পারছেন না। বৃহত্তর শিলিগুড়ি সাইকেল রিকশা ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রমন দে ধারা বলেন, “চালকেরা বেশি ভাড়া নেবেন তা আমরা সমর্থন করি না। তবে ন্যূনতম ভাড়া ৫ টাকা থেকে বাড়ানো হোক আমরা চাই। চালকেরা নির্দিষ্ট পোশাক যাতে পড়েন তা আমরা নজরদারি চালাব।” |